ব্যুরো নিউজ, ২৮ ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালি পৌছনোর পথে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হননি এমন মানুষ খুব কমই আছে। তা সে রাজনৈতিক দলের নেতাই হোক বা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সকলেই প্রায় এক-আধ বার সেই বাধার প্রাচীরের সম্মুখীন হয়েছেন। তেমনই সন্দেশখালি থেকে প্রায় ৫২ কিলোমিটার আগেই আটকে দেওয়া হয় দিল্লির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে। দিয়েছিল পুলিশ।
৩ মার্চ সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি
ভোটার তালিকায় লক্ষ লক্ষ ভুয়ো নাম! ১৪ হাজার ২৬৭ পাতার তালিকা জমা দিলেন শুভেন্দু
গত রবিবার দিল্লির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম সন্দেশখালি পৌঁছানোর চেষ্টা করে। ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিশিষ্ট বিচারপতি থেকে আইনজীবী ও বর্ষীয়ান সাংবাদিকও। কিন্তু তাদের আটকাতে সব রকম ব্যবস্থাই করে রেখেছিল প্রশাসন। আগেভাগেই চিঠি পাঠিয়ে তাদের জানানো হয় যে, সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় এখনও ১৪৪ ধারা রয়েছে। তাই তারা গ্রামে ঢুকতে পারবেন না। কিন্তু, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম স্পষ্ট জানায়, তারা সন্দেশখালি যাবেনই। তবে তাদের মধ্যে মাত্র ২ জন গ্রামে ঢুকবেন। কিন্তু সেখানেই বাধা।
সড়কপথে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দিলে সন্দেশখালি থেকে প্রায় ৫২ কিলোমিটার আগে ভোজেরহাটেই তাঁদের গাড়িকে আটকায় পুলিশ। জানানো হয়, বসিরহাটের পুলিশ সুপারের তেমনই নির্দেশ। এতেই শুরু হয় বচসা। এমনকি ঘটনার প্রতিবাদে পথে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। রাস্তা ফাঁকা করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। আর তা না করায় টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের।
আর সেই জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্ট পর্যন্ত। গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে মামলা দায়ের হয় আদালতে। সেই মামলাতেই দিল্লির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেয় আদালত। নির্দেশ দেওয়া হয়, আগামী ৩ মার্চ সন্দেশখালি যেতে পারবে দিল্লির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম।