ব্যুরো নিউজ ১২ নভেম্বর :বিশ্বে এমন একটি দেশ রয়েছে যেখানে প্রবেশ করলেই আপনি একলাফে ৮ বছর পিছিয়ে যাবেন। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, এটি সত্যি। আফ্রিকার প্রাচীনতম স্বাধীন রাষ্ট্র ইথিওপিয়া তার নিজস্ব ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে। যা পৃথিবীর অন্য দেশগুলির ব্যবহৃত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের থেকে ৮ বছর পিছিয়ে। ফলে ২০২০ সালে কেউ ইথিওপিয়ায় গেলে তিনি নিজেকে ২০১২ সালে আবিষ্কার করবেন।
শীতের রাজকীয়তা শালে, জেনে নিন কোন শালের কি বিশেষত্ব ?
কি ভাবে যাবেন সেই দেশে ?
ইথিওপিয়ার নিজস্ব এই ক্যালেন্ডারের মূল নাম “ইথিওপিয়ান ক্যালেন্ডার” যা অনেকটাই আলাদা। যেখানে পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশ ১২ মাসে বছর গণনা করে, ইথিওপিয়ায় বছর হয় ১৩ মাসে। প্রথম ১২ মাসে প্রতিটিতে থাকে ৩০ দিন, আর বাকি ৫-৬ দিন নিয়ে গঠিত হয় ত্রয়োদশ মাস।
হলদিরাম এলাকায় জল জমায় সমস্যা সমাধানে নতুন উদ্যোগ নবান্নে
এই ক্যালেন্ডার ব্যবহারের ঐতিহ্যগত কারণেই ইথিওপিয়ার সময় এবং সাল অন্যান্য দেশ থেকে পিছিয়ে থাকে। সেখানে চলমান সাল ৮ বছর পেছনে হওয়ায়, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। কোনও বিল তৈরি থেকে শুরু করে দোকানে কেনাকাটা—প্রতিটি ক্ষেত্রে সাল ও তারিখ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের থেকে আলাদা দেখায়। যা সেখানকার স্থানীয় মানুষজনের কাছে স্বাভাবিক হলেও বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে।
এই কারণেই ইথিওপিয়ায় গেলে নিয়মিত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে সাল ও তারিখ পরিবর্তন করে দেখতে হয়। দেশটির এই সময় ব্যবস্থার প্রভাব শুধু পর্যটকদের মধ্যেই নয়, যারা সেখানে কাজের জন্য যান তাদেরও প্রতিনিয়ত তারিখ পরিবর্তনের কাজ করতে হয়। ইথিওপিয়ার এই ক্যালেন্ডার ব্যবস্থাই তাদের ঐতিহ্যের প্রতীক, যা পরিবর্তন না করে তারা গর্বের সঙ্গে বহন করে চলেছেন।