ব্যুরো নিউজ,২৭ মার্চ : হাওড়ার বেলগাছিয়া এলাকায় একটি করুণ দৃশ্য চোখে পড়ছে প্রতিদিন। লহার কনটেনারে মাথা গোঁজার একটু ঠাঁই পেয়েছেন কয়েকটি অসহায় পরিবার, যাদের নিজেদের মাথার উপর ছাদ নেই। কিন্তু শুধুমাত্র এই সামান্য আশ্রয়টুকু পেয়েই থেমে গেছে তাদের প্রতি সরকারের দায়িত্ব। বেলগাছিয়ার স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, এতদিন কেটে গেলেও তারা কোনো সরকারি সাহায্য পাননি। না খাদ্যসামগ্রী, না বিদ্যুৎ, না জল – প্রাথমিক চাহিদাগুলিও মেটেনি এখনও পর্যন্ত।এই অসহায় মানুষেরা প্রতিদিনের জীবনে লড়াই করছেন বেঁচে থাকার জন্য। ঘর নেই, কাজ নেই, কোনো আর্থিক সহায়তা নেই। এমন পরিস্থিতিতে তাদের প্রশ্ন – “বিদেশে বসে মুখ্যমন্ত্রী অনেক বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু কি তিনি আমাদের এই কষ্টের খবর জানেন?”
Viral video:”রবি খোল” বলতেই ভেতর থেকে খুলে দিল দরজার ছিটকিনি। একিবিড়াল নাকি অন্য কিছু?
এদিকে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই এলাকায় গিয়ে মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “সরকার যদি না দেখে, আমরা দেখব। মানুষের দুঃখে পাশে থাকাই আমাদের দায়িত্ব।” তিনি কিছু ত্রাণসামগ্রী নিয়ে গিয়েছিলেন এবং আশ্বাস দেন, ভবিষ্যতে আরও সাহায্য করা হবে।তবে স্থানীয়রা বলছেন, শুধু বিরোধী দল নয়, রাজ্য সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে। কেন এখনও সরকারি আধিকারিকেরা এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন না? কেন কোনো পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হলো না?
গরমের ছুটিতে কাশ্মীর ঘুরতে যাবেন ভাবছেন ! রইল ৭ দিনের ফাটাফাটি প্ল্যান
বাচ্চাদের পড়াশোনার কোনো ব্যবস্থা নেই, বয়স্কদের চিকিৎসা করানোর কোনো সুযোগ নেই – অথচ এসবই মানুষের মৌলিক অধিকার।স্থানীয় এক মহিলা বলেন, “আমরা তো মানুষ, পশু না। একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই, একটু খাবার, একটু নিরাপত্তা – এইটুকু কি পাওয়ার অধিকার আমাদের নেই?”
৩১ বছর ধরে আজও বজায় রেখেছে ঐতিহ্য, হাওড়ার কোলে পরিবার
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে – কোথায় গেল সেই মানবিক প্রশাসন? যে সরকার সাধারণ মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল, তার প্রতিনিধি কোথায়?বেলগাছিয়ার এই মানুষগুলোর কথা হয়তো বড় শহরের কোলাহলে চাপা পড়ে যায়, কিন্তু বাস্তব বলছে – উন্নয়নের গল্পের আড়ালে রয়েছে অনেক অদৃশ্য কান্না।সরকার এবং সমাজের কাছে একটাই অনুরোধ – এই মানুষগুলোর পাশে একটু দাঁড়ান। সাহায্য করুন, যাতে তারাও একটু সম্মান নিয়ে বাঁচতে পরে।
