ব্যুরো নিউজ ৭ জুন : মিড ডে মিল বিতর্কে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু: কেন্দ্রের রিপোর্টকে ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ বলে দাবি
পশ্চিমবঙ্গে মিড ডে মিল (Mid Day Meal) প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে চলমান বিতর্কের মাঝেই এবার মুখ খুলেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত রিপোর্ট এবং বিরোধী দলের তোলা অভিযোগ খণ্ডন করে তিনি নিজেদের রিপোর্ট পেশ করেছেন।
ড্রোনের নিঃশব্দ শিকার, রাডার জানল না কিছুই
কেন্দ্রের অভিযোগ ও বিরোধী দলের দাবি
কেন্দ্রীয় সরকার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে প্রশ্ন তুলেছে যে, বাংলায় সকলে মিড ডে মিল পাচ্ছে না বা তারা মিড ডে মিল খেতে চাইছে না। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের দাবি, মিড ডে মিল প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া ৪০০০ কোটি টাকা রাজ্য এখনও খরচ করেনি। অন্যদিকে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে চাল চুরির অভিযোগ এনেছেন।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর পাল্টা যুক্তি
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু কেন্দ্রের রিপোর্টকে ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্র যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। এই বিতর্কের মধ্যেই ব্রাত্য বসু রাজ্য সরকারের নিজস্ব রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন।
- কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী: ২০২৪-’২৫ শিক্ষাবর্ষে মিড ডে মিলের জন্য নথিভুক্ত পড়ুয়া ছিল ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৪৬ জন। এর মধ্যে মিড ডে মিল পেয়েছে ৭৭ লক্ষ ৯১ হাজার ৯৪৬ জন, অর্থাৎ প্রায় ৬৯ শতাংশ।
- শিক্ষামন্ত্রীর দাবি: ব্রাত্য বসু কেন্দ্রের দাবি খারিজ করে বলেছেন যে, ২০২৩-’২৪ সালের তুলনায় ২০২৪-’২৫ শিক্ষাবর্ষে মিড ডে মিল প্রাপ্ত পড়ুয়াদের সংখ্যা বেড়েছে। তাঁর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-’২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রজেক্ট অ্যাপ্রুভাল বোর্ডের অনুমোদিত বাজেট অনুসারে ৯১% পড়ুয়া মিড ডে মিল পেয়েছে, যেখানে ২০২৩-’২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ৮৫ শতাংশ।
এনডিএ সরকারের প্রস্তাবিত জাতিগত জনগণনা: ২০২৭-এর মার্চ থেকে শুরু
অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে তুলনা ও অভিযোগ
শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেছেন যে, “২০২৪-’২৫ শিক্ষাবর্ষের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের বড় রাজ্যগুলির তুলনায় এ রাজ্যের মিড ডে মিল ব্যবস্থার অবস্থা যথেষ্ট ভালো রয়েছে।” তিনি বিহার, গুজরাট, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে তুলনা টেনে বলেন যে, বাংলায় যত শতাংশ পড়ুয়া মিড ডে মিল পায়, শতাংশের হিসাবে ওই রাজ্যগুলিতে তা কম। শিক্ষামন্ত্রী অভিযোগ করেছেন যে, বাংলাকে “পঙ্গু করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে” কেন্দ্র এই সব প্রশ্ন তুলছে।
ব্রাত্য বসু আরও জানান যে, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (MIS) এন্ট্রি অনুসারে পশ্চিমবঙ্গে মিড ডে মিলের কভারেজ ৬৯%। গুজরাট, বিহার, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশে এর কভারেজ অনেকটাই কম বলে তিনি দাবি করেন।