ব্যুরো নিউজ,২ নভেম্বর:দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একজন স্কুল শিক্ষক, অনিমেষ হালদার, সম্প্রতি আরটিআই (রাইট টু ইনফরমেশন) আবেদন করেছিলেন, স্কুলে কতগুলি শূন্যপদ রয়েছে তা জানতে। তিনি একটি শিক্ষক সংগঠনের সদস্য এবং শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে নানা নালিশ পান। তবে এই আবেদনের জবাব হিসাবে শিক্ষাদফতর যে তথ্য প্রদান করেছে, তা শুনে তিনি হতাশ হন। বিকাশ ভবন শূন্যপদের সংখ্যা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে।
মোদীর তীব্র আক্রমণঃ কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতির ফাঁপা বাক্য!
শিক্ষা দফতরের ব্যর্থতা
তথ্য জানাতে না পারার পিছনে কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, শূন্যপদের সংখ্যা মাঝেমধ্যে পরিবর্তিত হয়। ফলে সঠিক তথ্য দিতে হলে, তা আপডেট করা প্রয়োজন। অন্যদিকে, ভুল তথ্য দেওয়ার ফলে আইনি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে বলেও একটি যুক্তি রয়েছে। কিন্তু এখানে প্রশ্ন ওঠে, যদি নিয়োগ হয়, তাহলে কেন শূন্যপদের তথ্য শিক্ষাদফতরের কাছে নেই? এই ঘটনার মাধ্যমে শিক্ষাদফতরের কাজকর্মের ওপর এক প্রশ্ন উঠছে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নথি এবং পলিসি শূন্যপদে নির্ভর করে। কিন্তু যদি সরকারই এই তথ্য জানাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সাধারণ শিক্ষকরা কীভাবে নিজেদের অধিকার এবং দাবি জানান?
আর জি করের নির্যাতিতার ন্যায়বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের দৃঢ় অবস্থানঃ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি
এছাড়া, স্কুল শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক মামলা হয়েছে, যা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে থমকে দিয়েছে। তাই, শূন্যপদের সঠিক সংখ্যা জানা অত্যন্ত জরুরি। তবে, দফতর যদি তথ্য না দিতে পারে, তাহলে এর ফলস্বরূপ সাধারণ শিক্ষকদের সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।আরটিআই আবেদন ফের শিক্ষা দফতরকে ভাবতে বাধ্য করছে যে, তারা আসলে কীভাবে কাজ করছে।