ব্যুরো নিউজ, ১৭ ফেব্রুয়ারি: শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃনমূলের নেতা তথা রাজ্যের শিক্ষা ও শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার তার ঘনিস্ট প্রোমোটার রাজীব দে-র বাড়িতে তল্লাশি চালালো ইডি। শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে দঃ কলকাতার নাকতলার বাড়িতে হাজির হন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটরের কর্তারা। পাশাপাশি ওই এলাকার বাশদ্রোণীর তার নামের দুটি ফ্ল্যাটে ও পৈতৃক বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। তার ইমারতি দ্রব্য কন্সট্রাকশন অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযোগ, রাজীব দে নিয়োগ দুর্নীতিতে ঘুষের টাকা ঘুর পথে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকে নিয়ে প্রমোটরির কাজে লাগায়। রাজীবকে আগেও কয়েকবার তলব করা হয়। তার আয়- ব্যয় সংক্রান্ত নথি দাখিলের নির্দেশও দেয় ইডি। কিন্তু, রাজীব কোনও নথিই দেখাতে পারেনি। ফলে, রাজীবকে নানাভাবে জেরার পাশাপাশি নথির খোঁজে তার সমস্ত ডেরায় তল্লাশি চালাতে বাধ্য হয় ইডি।
চিড়িয়াখানা, সাফারি প্লাস্টিক মুক্ত হবে?
উল্লেখ্য, রাজীব দে-র বাড়ি নাকতলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এলাকায় তার অফিস শ্রীরাম কন্সট্রাকশন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বারির কাছেই। রাজীব বরাবরই এলাকায় পার্থ ঘনিষ্ঠ। এছাড়াও জানা গেছে রাজীবের আরও একটি সংস্থা ছিল যার নাম ইম্প্রোলাইম কন্সট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড। ওই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন রাজীব ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি প্রয়াত। বাবলির মৃত্যুর পর ওই কোম্পানির ডিরেক্টর হন পার্থর জামাই কল্যানময় ভট্টাচার্য ও কল্যানময়ের মামা কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারী। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বেহালার তৃনমূল কাউন্সিলর পার্থ সরকার ওরফে ভজা ও অপর কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে আগেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। তাদের থেকেই রাজীব দে-র নাম জানতে পারে ইডি কর্তারা। ইডির ধারনা নিয়োগ দুর্নীতির টাকা নানা হাত ঘুরে রাজীব দে-র কোম্পানিগুলিতেই খাটতো। আর তারই নথি পেতে মরিয়া তারা।
এছাড়াও নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে দঃ কলকাতার বালিগঞ্জের গোলপার্কে এক সোনার ব্যবসায়ীর বাড়ি, অফিস, দোকানে তল্লাশি চালায়। ইডি অফিসারদের ধারনা শুধু আবাসন তৈরিই নয়, ওই দুর্নীতির টাকা নানা ধরনের ব্যবসায়ীরা নানা প্রজেক্টে খাটানোর জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকে পেতো। ইভিএম নিউজ