তিব্বতে তীব্র ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ব্যুরো নিউজ,৮ জানুয়ারি:তিব্বতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই ভূমিকম্পে ইতিমধ্যে ১২৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং আহত হয়েছেন ১৮৮ জন। তবে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার সকালে, তিব্বতের শিগাতসে ভূমিকম্পটি ঘটেছিল, যার প্রভাব পড়ে নেপাল, ভুটান এবং ভারতেও। খবর অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পে প্রায় আট লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল তিব্বতের তিংরি প্রদেশ, এবং এটি ছিল ১০ কিলোমিটার গভীর। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৬.৮। তবে, আমেরিকা এবং চীন দুই দেশের ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থার মধ্যে কিছু পরস্পরবিরোধী তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।

গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ

দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল

ভূমিকম্পের পর এই এলাকায় বেশ কয়েকটি আফটারশকও অনুভূত হয়েছে, যার মধ্যে সর্বোচ্চ তীব্রতা ছিল ৪.৪ রিখটার।ভূমিকম্পের পর অঞ্চলটির অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ হয়ে পড়েছে। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে অনেক বাড়ি, দোকান এবং অন্যান্য স্থাপনা। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছে বহু মানুষ। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু করলেও অনেক মানুষ এখনও উদ্ধারকাজের অপেক্ষায় রয়েছেন। এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং উদ্ধারকর্মীরা দিন-রাত এক করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিব্বতের বেশ কিছু এলাকার দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে উঠেছে, যেখানে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া মানুষদের উদ্ধারের কাজ চলছে।উদ্ধারকর্মীরা বিশেষ করে খাবার, জল এবং চিকিৎসা সরবরাহের জন্য কাজ করছেন, কারণ অনেকেই বাড়ি হারিয়ে রাস্তায় বসে আছেন। উদ্ধারকাজ চলছে। তবে উদ্ধারকর্মীরা হাল ছাড়তে রাজি নন এবং তারা অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।নেপাল, ভুটান এবং ভারতেও ভূমিকম্পের প্রভাব পড়ে। নেপাল রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে তিব্বত অবস্থিত, যেখানে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

সুন্দরবনে ফিরল ‘অনুপ্রবেশকারী’ বাঘ, হাঁফ ছেড়ে বাঁচল কুলতলির গ্রামবাসীরা

সোলুখুম্বু জেলার কিছু অংশেও কম্পন অনুভূত হয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত সেখান থেকে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ভূমিকম্পের কারণ হল লাসা ব্লক নামক একটি টেকটোনিক ফাটল। এই অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক চাপের কারণে ভূমিকম্পের আশঙ্কা বেশি। ভারতের ভারতীয় পাত এবং ইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষের ফলে এই ধরনের ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটতে পারে। এই অঞ্চলে একাধিক ভূমিকম্প ঘটেছে, যার মধ্যে ১৯৫০ সালে ৮.৬ রিখটার স্কেলের একটি ভয়াবহ ভূমিকম্পও ছিল।এখন পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে এবং তিব্বতবাসীরা, বিশেষ করে শিগাতসের স্থানীয়রা, তাদের সর্বস্ব হারিয়ে বিপর্যস্ত। ভূমিকম্পের পর প্রকৃতির বিধ্বংসী রূপে তিব্বতবাসীদের জীবনের একটি কঠিন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর