ব্যুরো নিউজ ৩ অক্টোবর : শরৎ এসেছে, বাতাসে ভেসে আসছে দুর্গাপুজোর আগমনীর সুর। কাশবনের দোলা আর শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জির গান। কলকাতার মতো জার্মানির রাজধানী বার্লিনও মেঘমালা দ্বারা ঢেকে গেছে, যেন পেঁজা তুলোর মতো। বাঙালি এবং দুর্গাপুজো, এই সম্পর্ক এক অটুট বন্ধন, যা বাংলা তথা সারা বিশ্বে দৃশ্যমান।
কুমারী পুজো থেকে চণ্ডীপাঠ বাদ যায়না কোণো নিয়মই
বার্লিনে বার্লিন ইগ্নাইট ইভেন্টের উদ্যোগে দুর্গাপুজোর আয়োজন হচ্ছে। বিদেশের অনেক পুজো সাধারণত সপ্তাহের ছুটিতে হয়, তবে বার্লিনের এই পুজো বাংলা পঞ্জিকার অনুসরণ করে। এটি চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং প্রতিটি নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়। কুমারী পুজো থেকে চণ্ডীপাঠ, সন্ধিপুজো থেকে মায়ের দর্পণ বিসর্জন—কোনো কিছুই বাদ যায় না।প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বাধ্যবাধকতা থাকলেও, শুরুর দিকে কুমোরটুলি থেকে নিয়ে আসা প্রতিমার পুজো চলছে। সংগঠনের ১১৪ সদস্য অফিসের কাজ সামলানোর পাশাপাশি পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছেন। তারা মণ্ডপ তৈরি থেকে সাজসজ্জা, সবকিছুই নিজেদের হাতে করেন।শ্রী গণেশ হিন্দু মন্দিরে প্রতিবছর পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এবছরের থিম ‘শক্তি’। বর্তমানে আয়োজনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। পুজোর সঙ্গে চারদিন ধরে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়, যার মধ্যে নাটক অন্যতম আকর্ষণ। এবারের নাটকের নাম ‘শক্তিরূপেণ সংস্থিতা’।
চারদিন ধরে ভোগ বিতরণও করা হবে। বার্লিনের এই পুজো কেবল বাঙালির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, অন্যান্য প্রবাসী ভারতীয় ও জার্মানরাও এতে অংশগ্রহণ করেন। বিদেশের মাটিতে বাঙালির সংস্কৃতি তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই পুজো। ইগ্নাইটের বার্তা হলো, “হোক সত্যের জয়। মায়ার আশীর্বাদে ফিরুক বিশ্বে শান্তি।”