ব্যুরো নিউজ,১৯ নভেম্বর:বাঁকুড়ার সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে চরম গাফিলতির নজির উঠে এল। কোচডিহি গ্রামের প্রিয়া রায় নামের এক গর্ভবতী মা গতকাল রাতে পেটের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরিবারের দাবি কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রসূতিকে ইউরিন টেস্ট করতে বলেন। প্রসূতি বাথরুমে গেলে সেখানেই একটি অপরিণত শিশুর জন্ম দেন।
দিল্লির বিষাক্ত বাতাসে শ্বাসরোধ, কঠোর নিয়মে শহরবাসী
প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে ?
পরিবারের লোকজন নার্সদের ডাকলেও তারা সময়মতো পৌঁছাননি বলে অভিযোগ। প্রসূতিকে প্রসূতি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলেও সদ্যোজাতকে সেখানেই ফেলে রাখা হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে দেখতে এসে দেখেন শিশুটি নেই। খোঁজাখুঁজির পর দেখা যায় একটি পথকুকুর শিশুটিকে মুখে করে নিয়ে হাসপাতালের চত্বরে ছুটে যাচ্ছে। দৃশ্য দেখে হতবাক ও কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন।
দক্ষিণী সুপারস্টার আল্লু অর্জুন ‘পুষ্পা ২’ অভিনয়ের জন্য কত পারিশ্রমিক নিচ্ছেন?
এ ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে। পরিবারের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উত্তপ্ত বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। খবর পেয়ে সোনামুখী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরিস্থিতি জটিল দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি প্রসূতিকে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে।
এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। হাসপাতালে পথকুকুরের অবাধ চলাফেরা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে তারা ঘটনার তদন্ত করছেন। রাতে যারা ডিউটিতে ছিলেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।