ব্যুরো নিউজ ১৬ অক্টোবর : মৌলপুরের গ্রামীণ হাসপাতালে ফের এক চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। এই ঘটনাটি পুরাতন মালদহের, যেখানে রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
করোনার পর এবারের পুজোর ভিড় ফিরিয়ে দিল ব্যবসার প্রাণ
পরিবারের হাতে হেনস্তার শিকার
জানা গেছে, মালদহের ভাবুক অঞ্চলের রাঙামাটিয়া এলাকার এক ব্যক্তি তার চার বছরের শিশুকে জ্বর নিয়ে মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে ভর্তির পরই শিশুটির চিকিৎসা শুরু হয় এবং রক্তপরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসক অরিন্দম চাকি শিশুটির চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য মালদহ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।তবে চিকিৎসকের এই নির্দেশে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিশুটির মা-বাবা ও আত্মীয়রা। অভিযোগ রয়েছে যে, তারা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন এবং ধাক্কাধাক্কি করেন। পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে যে, পুলিশও হাসপাতালে পৌঁছালে তারা পরিবারের হাতে হেনস্তার শিকার হন।
মহাকাশে লাল এবং সবুজ আলোর মহাজাগতিক দৃশ্য
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, “চিকিৎসকদের সঙ্গে অভিযুক্ত পরিবারের যে ব্যবহার তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এতে ডাক্তার কিংবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও দোষ নেই।”এই ঘটনার বিষয়ে মৌলপুর হাসপাতালের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়দীপ মজুমদার মন্তব্য করতে চাননি। তবে আক্রান্ত চিকিৎসক অরিন্দম জানিয়েছেন, “এক রোগীর আত্মীয় পরিজনদের দ্বারা আমরা আক্রান্ত হয়েছি। মালদহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করব।” তিনি আরও জানান, “মুষ্টিমেয় কিছু লোকের আচরণের জন্য সকলের বদনাম হচ্ছে।”