ব্যুরো নিউজ, ৬ জুন : এবারের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্র বদল করা হয় দিলীপ ঘোষের। মেদিনীপুরের বদলে বর্ধমান-দুর্গাপুরের প্রার্থী করা হয় দিলীপ ঘোষকে। যদিও মেদিনীপুর ও বর্ধমান-দুর্গাপুর এই দুটো আসনই ছিল বিজেপির। তবে এই কেন্দ্রের প্রার্থী বদলের পরেই এই দুই আসনেই মহা বিপর্যয় দেখা যায়। জেতা দুটি আসনই হাত ছাড়া হয়ে যায় বিজেপির। আর এর পেছনে প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্তকেই দায়ি করেছ রাজনৈতিক মহল।
বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ
মোদীর কাছে শরিকদের দাবি নিয়ে কড়া বার্তা দিলীপ ঘোষের
তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ বিষয়ে অবশ্য বলেছেন, তিনি সব সিদ্ধান্ত না নিতে পাড়লেও, দায় তাঁরই। তবে এই সিদ্ধান্তের পেছনে কার হাত টা অবশ্য তিনি স্পষ্ট করেননি। আর এবার তা নিয়ে মুখ খুলতে শোনা গেল খোদ দিলীপ ঘোষকে।
প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ১৮টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। আর সেই সংখ্যা ১৮ থেকে কমে ১২। আর এই নিয়ে দিলীপ স্পষ্ট বলেন, সংগঠন দুর্বল হয়ে গিয়েছে। বুথে বুথে এজেন্ট করার জন্য লোক খুঁজতে হয়েছে।
দিলীপ দাবি করেন, বছরের পর বছর জেলা স্তরে কোনও বৈঠক হয়নি। নির্বাচন চালানোর মতো টিমই তৈরি হয়নি। তাঁকে মেদিনীপুর থেকে টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত যে ভুল তা প্রমাণিত। এমনই স্পষ্ট দাবি করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি এও বলেন, রাজনীতি করতে গেলে দায় তো নিতেই হবে। জিতলে মালা পরব, আর হারলে…? যত দোষ দিলীপ ঘোষ! দু-তিনবার তো আমার ঘাড়ে চাপানো হল, এবার কোনও ঘোষকে পাওয়া যায় দেখি।