ব্যুরো নিউজ, ৭ জুন: লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে বিজেপি আশানরূপ ফল করেনি। কেন্দ্রের হেভিওয়েট নেতারা বঙ্গে প্রচারে এসে ৪২টির মধ্যে ৩০ টি আসন জেতার লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে গেলেও সেখানে বিজেপির ঝুলিতে গেছে ১২টি আসন। যেখানে ১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতেছিল ১৮ টি আসনে। স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়া শিবিরের কাছে এই ফল অপ্রত্যাশিত ছিল। এবারে বঙ্গে এসে দফায় দফায় ভোট প্রচারও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মেগা রোড শো এ অংশ নিয়েছেন। কিন্তু এর কোন কিছুই কি ভোট বাক্সে প্রভাব ফেলল না? ১৯ এ যেখানে গেরুয়া শিবির ৪১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। সেখানে ২৪ এ ভোটের শতাংশ কমে হয়েছে ৩৮। অন্যদিকে বিজেপির এই ফল কেন হল তার কারণ পর্যালোচনা করা জরুরি বলে মনে করছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
কোন কোন মন্ত্রকে নজর নীতীশ-চন্দ্রবাবুর? অন্যান্য শরিকদের কী কী দাবি?
‘মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে আমাকে লড়তে দেওয়া হয়নি’
এবারের নির্বাচনে তার নিজের কেন্দ্র মেদিনীপুর সরিয়ে, বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্র তাকে দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনী কেন্দ্র বদল নিয়ে আগেই খুব প্রকাশ করেছেন দিলীপ ঘোষ, পাশাপাশি হারের কারণ হিসেবে কাঠিবাজির অভিযোগ ও তুলেছিলেন বিজেপি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার দল যে তাঁকে ব্রাত্য করে রেখেছে, সেই অভিযোগ তুললেন তিনি। দলের কোন প্রোগ্রামে তাকে ডাকা হয় না, তার মতামত নেওয়া হয় না, এমনকি গত চার বছর ধরে তিনি দলের কোন প্রোগ্রামে যান না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন দিলীপ ঘোষ। এমনকি মেদিনীপুর কেন্দ্রে সাংসদের সমস্ত দায়িত্ব পালন করলেও তাকে ওই কেন্দ্রে থেকে এবারে লড়তে দেয়া হয়নি বলে উষ্মা প্রকাশ করলেন বিজেপি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির খারাপ ফলকে কেন্দ্র করে দলের স্ট্র্যাটিজি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সৌমিত্র খাঁ থেকে শুরু করে জগন্নাথ সরকার সকলেই। দিলীপ ঘোষের জেতা কেন্দ্র মেদিনীপুর থেকে এবারের নির্বাচনে তাকে কেন লড়তে দেওয়া হলো না সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা। তবে দলের উচ্চ নেতৃত্বকে এই সমস্ত বিষয়ে খতিয়ে দেখে আগামী দিনে দলের স্ট্র্যাটিজি ঠিক করা উচিত বলেই মনে করেন দিলীপ ঘোষ। না হলে একই ফলের পুনরাবৃত্তি হবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
