ব্যুরো নিউজ,১৮ জুলাই: মঙ্গলবারের ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকাল। মঙ্গলবার ৬ ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গড়ার গেজেট নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছিল। এদিকে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সরকার পক্ষের করা মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আগে ধ্যার্য করা হয়েছে আগামী ৭ ই আগস্ট। কিন্তু তা পরে এগিয়ে আনা হয়েছে। যা নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী রবিবার। যদিও এ বিষয় ছাএরা সাফ জানিয়ে দেন, গুলির মুখে আলোচনা একেবারেই অর্থহীন। তাই সরকারের প্রস্তাব তারা খারিচ করছেন। মঙ্গলবারের ঘটনার পর এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বাত্মক বনধের ডাক দিয়েছিল চাকরিতে সংরক্ষনের বিরোধিতা করে পথে নামা ছাত্ররা।
নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করতে মুসলিম আইন বাতিল বিজেপি সরকারের, পাশ হলো মন্ত্রীসভায়
সব মিলিয়ে আজও থমথমে বাংলাদেশের ঢাকার রামপুরা
ছাত্র আন্দোলনের খবর পেয়ে আগে থেকেই দেশের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ঘিরে ফেলেছিল পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের পাশাপাশি নামানো হয়েছিলো র্যাফও। কিন্তু এরপরেও রোখা গেলো না, পরিস্থিতি।ঢাকার রামপুরায় সরকারি চাকরির সংরক্ষণে সংস্কার চেয়ে খন্ডযুদ্ধ পুলিশ বনাম ছাত্র লীগ সমর্থকদের। সংঘর্ষের জেরে ক্ষণিকের মধ্যেই রক্তাক্ত হয় ঢাকার রাজপথ। ঘটনাস্থল থেকে মারমুখী কলেজ পড়ুয়াদের হটাতে লাঠি, গুলি, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও প্লাস্টিক বুলেটও চালায় পুলিশ। পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন প্রায় ৩২ জন।
আকাশছোঁয়া বিদ্যুতের দাম,প্রতিবাদ আন্দোলনে নামছে বিজেপি
জানা যায়, শুধু আন্দোলনকারীরাই নয়, পুলিশের গুলি, কাঁদানে গ্যাসের শেল, প্লাস্টিক বুলেটের আঘাতে বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছেন পথ চলতি সাধারণ মানুষও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে প্রায় এক ডজন সাঁজোয়া গাড়ীকেও বের হতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ঢাকা, সিলেট, মাদারিপুর, বরিশাল সহ একাধিক জায়গায় ব্যাপক ভাবে আক্রান্ত হতে হয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও। এমনকি পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় ঘটনাস্থল থেকে পিছু হটতেও বাধ্য হয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমর্থকরা। অন্যদিকে, ছাত্র ও পুলিশের রণক্ষেত্রের খবর সম্প্রচার করায় বাংলাদেশের এক সংবাদ মাধ্যমের দফতরেও ব্যাপক ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা বলে জানা যায়। পাশাপাশি, মেট্রো স্টেশনেও আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিতরা। সব মিলিয়ে আজও থমথমে বাংলাদেশের ঢাকার রামপুরা।