ব্যুরো নিউজ,২৯ জুলাই:গোটা রাজ্যে বেশ কয়েকদিন এমনকি বেশ কয়েক মাস জুড়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের ঘুম উড়িয়েছে প্রসূতি মৃত্যুর কারণ। এই প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় শীর্ষে রয়েছে কলকাতা! তথ্য অনুসারে জানা যায় যে ২০২৩ থেকে এরপর থেকে প্রায় ১১৬২ জুন মারা গিয়েছে। এই প্রসূতির মৃত্যুর কারনে। তার মধ্যে ২৪ শতাংশই হলো নাবালিকা। রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা যেখানে উন্নত বলে দাবি করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে এমন পরিস্থিতি হওয়ার কারণ কি? ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যকর্তাদের চিন্তা বাড়িয়ে তুলেছে এই পরিস্থিতি।
এত কেন প্রসূতির মৃত্যু হচ্ছে?
প্যারিস অলিম্পিক্স ভারতকে প্রথম ব্রোঞ্জ মনুর হাত ধরে
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রায় ১১৬২ জন মারা গেছে এই প্রসূতির কারণ। তথ্য অনুসারে কলকাতায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল গুলিতে প্রসূতি মৃত সংখ্যা। জানা যায়, কলকাতায় মারা গিয়েছে ২০৪ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ ১৬২ জন, তৃতীয় স্থানে পূর্ব বর্ধমান ৭৯ জন এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে মালদা ৭১ জন। এমন কঠিন পরিস্থিতি স্বাস্থ্য দপ্তরের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
আর চিন্তা কিসের?বাইক কিনতে চাইলে টাকা দেবে সরকার, জেনে নিন
শহরের হাসপাতাল গুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রসূতির মারা গিয়েছে কলকাতার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আর এর পরেই হয়েছে যথাক্রমে এসএসকেএম ও আর জি কর মেডিকেল কলেজ। এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে, কলকাতার উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবাযুক্ত তথাকথিত শহরে নামিদামি মেডিকেল কলেজ গুলিতে এত কেন প্রসূতির মৃত্যু হচ্ছে? স্বাস্থ্য দপ্তরের সূত্র অনুযায়ী , একাধিক কারণের জন্যই মৃত্যুর হার বাড়ছে এই বিভাগে । তারা জানিয়েছেন যে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েই চলেছে নাবালিকাদের প্রসূতি। আর এতেই প্রসবের ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। এছাড়া অস্ত্রোপচার বা সিজার করে সন্তান জন্ম দেওয়ার কারনে প্রসূতি মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। প্রায় ৪১ শতাংশ শিশুই জন্ম দিচ্ছে অস্ত্রপচার মাধ্যম ব্যবহার করে। গুরুতর অভিযোগ উঠছে যে হাসপাতালে নিযুক্ত করা পিজিটি এবং সিনিয়ার চিকিৎসকরা নিজেদের অভিজ্ঞতা বাড়াতে এই অস্ত্রোপচার করছেন। এছাড় সরকারি ক্ষেত্রে ওষুধ ইনজেকশন বা আইডি ফ্লুইড থেকে সংক্রমণ হচ্ছে রোগীদের। অপরদিকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসামান উন্নত হওয়ায় সেখানে প্রসূতি মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কম বলে দাবি করছেন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকরা।