ব্যুরো নিউজ, ৯ মেঃ আমাদের দিনের শুরুই হয় দাঁত মাজা দিয়ে। মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই ছোট্ট অভ্যাসই বড় ভূমিকা নেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, দাঁত মাজলেও অনেকেই পুরনো ক্ষয়ে যাওয়া টুথব্রাশ ব্যবহার করেন মাসের পর মাস। চিকিৎসকদের মতে, এই অভ্যাসই ডেকে আনতে পারে একাধিক শারীরিক বিপদ।
ভারতীয় সেনাকে শক্তিশালী করতে কোন অস্ত্রে কত বরাদ্দ করলেন সীতারামন
সম্প্রতি এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ দাঁত মাজার জন্য পুরনো ব্রাশই ব্যবহার করেন। অথচ পুরনো ব্রাশে দাঁত ভালো করে পরিষ্কার হয় না, বরং ক্ষতি বাড়ায়। সময়ের সঙ্গে ব্রিস্লগুলো ক্ষয়ে গিয়ে ধারালো হয়ে দাঁতের মাড়িতে রক্তপাত ঘটাতে পারে। এই ক্ষত থেকে মুখের মধ্যে আলসারও তৈরি হতে পারে। দাঁতের এনামেল ক্ষয়ের সম্ভাবনাও থাকে বেশি। শুধু তাই নয়, পুরনো ব্রাশ জীবাণুর আঁতুড়ঘর হয়ে ওঠে। যেহেতু বেশিরভাগ সময় ব্রাশ ঢাকা থাকে না, তাই জীবাণু সহজেই বাসা বাঁধে। সর্দিকাশি সেরে যাওয়ার পরও পুরনো ব্রাশ ব্যবহারে সংক্রমণ ফিরে আসতে পারে।
কোন ব্রাশ কবে বদলাবেন?
দাঁতের চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, সব সময় নরম ব্রিস্লযুক্ত ব্রাশ ব্যবহার করতে। এতে দাঁতের এনামেলও সুরক্ষিত থাকে এবং মুখের ভিতরেও ক্ষতের ভয় থাকে না। বাচ্চাদের জন্য যেমন অতিরিক্ত নরম ব্রাশ পাওয়া যায়, বড়দের ক্ষেত্রেও সেই ধরনের ব্রাশই সবচেয়ে নিরাপদ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন টুথব্রাশ তিন থেকে চার মাস অন্তর বদলানো উচিত। এই সময়ের মধ্যে ব্রাশের পরিষ্কার করার ক্ষমতা প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যায়। নিয়মিত পরিবর্তনে ব্রিস্ল ভালো থাকে এবং জীবাণুর সংক্রমণের আশঙ্কাও কমে। বাজার থেকে মানসম্পন্ন ও ব্র্যান্ডেড ব্রাশ কিনতে হবে যাতে গুণগত মান বজায় থাকে। তাই দাঁত মাজার অভ্যাস শুধু চালিয়ে যাওয়া নয়, ব্রাশের স্বাস্থ্যও নজরে রাখতে হবে। নিয়মিত পরিবর্তনই আপনার মুখের সুস্থতার গোপন চাবিকাঠি।