ব্যুরো নিউজ,১৪ সেপ্টেম্বর :চার দিনের ব্যবধানে ফের লালবাজার অভিযান করল বামেরা, তবে এবারের প্রতিবাদ আন্দোলনের রূপ কিছুটা আলাদা। কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে বাম নেতা-কর্মীরা লালবাজারের অদূরে রাতভর ধর্নায় বসেছেন। তাদের প্রশ্ন, শিক্ষা দুর্নীতিতে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী এবং খাদ্য দুর্নীতিতে তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হলেও, স্বাস্থ্য দুর্নীতির তদন্তে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কেন প্রশ্ন করা হচ্ছে না? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে রয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
ওসামা বিন লাদেনের পুত্র হামজা বিন লাদেন আল কায়দার নেতৃত্বে
রাতভর বাম ধর্নায়
বামফ্রন্টের ডাকে শুক্রবার বৌবাজারে ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার সামনে জমায়েত করে লালবাজার অভিযানে যোগ দেন সিপিএম নেতা-কর্মীরা। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণে শোক প্রকাশ করতে কালো ব্যাজ ও প্রয়াত নেতার স্মরণে পোস্টার নিয়ে মিছিলে অংশ নেন তারা। পুলিশের দ্বারা ৯ ফুট উঁচু ব্যারিকেড দিয়ে পথ বন্ধ করে দেওয়া হলে, সেখানেই অবস্থান শুরু করেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, ‘আমরা এখানে যুদ্ধ করতে আসিনি। যেখানে আটকে পড়েছি, সেখানেই অবস্থান করব। এই পুলিশ কমিশনারের পদে থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই। স্বাস্থ্য দফতরে দুর্নীতি চলছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী কি করছিলেন?’
চুঁচুড়ার মেলায় রচনার আবেদন: চিকিৎসকরা আবার কবে ফিরবেন?
আরজি কর-কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তার বক্তব্য, ‘আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ তোলেনি, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে অপরাধীদের আড়াল করা হচ্ছে কেন? শিক্ষা ও খাদ্য দুর্নীতিতে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, স্বাস্থ্য দুর্নীতিতে কেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না?’ এদিন ময়নাগুড়িতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও একই প্রশ্ন তোলেন।
নতুন নাম “শ্রী বিজয়া পুরম”: পোর্ট ব্লেয়ারের নাম বদলে স্বাধীনতার চেতনা
চিকিৎসক-ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রমাণ লোপাট এবং আরজি কর হাসপাতালে হামলার প্রেক্ষিতে নগরপালের ইস্তফার দাবিও তোলেন সেলিম। পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেডের উপরে উঠে দাঁড়ান কিছু বাম সমর্থক। সেলিম জানান, ‘দু’মিনিটেই ব্যারিকেড ভাঙা সম্ভব, কিন্তু আমাদের পুলিশি সংঘর্ষে আগ্রহ নেই। কিছু অফিসার যাঁরা শাসকের কথায় চলছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা।’ শ্যামবাজারে সিপিএমের ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠনের টানা অবস্থানও চলছে, যেখানে যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবং গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষরা অংশ নেন।