ব্যুরো নিউজ,২৭ আগস্ট:দুর্গাপুজোয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে অনুদান চালু হয়েছিল ২০১৭-১৮ সাল থেকে। প্রথমে ১০ হাজার টাকা দিয়ে এই অনুদান দেওয়া চালু হয়। পরবর্তীতে প্রতি বছর ধাপে ধাপে তা বাড়তে থাকে। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন প্রতিটি পূজা কমিটিকে ৮৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আর তার মধ্যেই ঘটে যায় আরজি করের মতো একটি নারকীয় পৈশাচিক ঘটনা। এর প্রতিবাদে সারা রাজ্য উত্তাল। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া দূর্গাপূজার অনুদান ফেরাতে শুরু করেছেন একের পর এক পুজো কমিটিগুলো।
RG Kar case:মিলেছে রহস্যের সূত্র?অ্যাকশন মোডে সাতসকালেই সন্দীপের বাড়িতে সিবিআই, শহরজুড়ে তল্লাশি
দুর্গার ভান্ডার নিয়ে কি সিদ্ধান্ত পুরসভার চেয়ারম্যানের?
Beauty Tips : পুজোর আগে চটজলদি ওজন কমাতে চান? উপকার পাবেন এই টোটকায়
দুর্গাপুজোর অনুদান ইতিমধ্যেই হুগলি জেলার চারটি পুজো কমিটি নেবে না বলে জানিয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য জেলা থেকেও এরকম আবেদন আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে সরকার যথেষ্ট চাপে। এই আবহে তৃণমূলের একাধিক নেতা বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন। সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ যারা আন্দোলন করছেন, এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে ইচ্ছুক নন, তাদের প্রকল্পের সুবিধা থেকে বাদ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন। সেরকম ধরনের প্রক্রিয়া যাতে সরকার করে তার আবেদন করেছেন। বহু তৃণমূল নেতা লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের মতামত পেশ করছেন। এবার দুর্গাপূজার অনুদান নিয়ে কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাস নতুন ঘোষণা করেছেন। তার কথায়, দুর্গার ভান্ডার নিতে যে সমস্ত পুজো কমিটিগুলি ইচ্ছুক তাদেরকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চলচ্চিত্রম মোড়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন চেয়ারম্যান স্বপন দাস।
কলকাতার রাস্তায় ১৮ ঘণ্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে গত ২৭আগস্ট
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদে বহু পুজো কমিটি মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া দুর্গাপুজোর এই অনুদান গ্রহণ করছেন না। সেখানে কোন কোন পুজো কমিটি এই অনুদান নিতে ইচ্ছুক, তা খুঁজে বের করার জন্য কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান এক নয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী দুর্গার ভান্ডার পেতে গেলে পোর্টালে আবেদন করে নথি জমা দিতে হয়। তারপরেই পুজো কমিটিগুলো অনুদান পান। পুরসভার চেয়ারম্যান দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে হোয়াটসঅ্যাপ করেছেন। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের তরফে বলা হয়েছে, উত্তরপাড়ার পথে কোন্নগরের মাস্টারপাড়া হেঁটেছে। একাধিক পুজো কমিটি আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন,উই ওয়ান্ট জাস্টিস.. তাহলে জাস্টিসের জন্য যারা অনুদান ফিরিয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস আবার তাদের পাল্টা মিছিল করছে। এই প্রসঙ্গে কোন্নগরের একটি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক জানান, পৌরসভার চেয়ারম্যানের বার্তা পেয়েছি। আমাদের পূজোর আয়োজন ছোট হয়। তাই আমাদের কাছে সরকারি অনুদান জরুরী। তবে সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডারের পর এবার দুর্গার ভান্ডার নিয়েও তৃণমূলের একাধিক নেতার বিভিন্ন ধরনের মন্তব্যে প্রশ্ন উঠছে, প্রতিবাদ বন্ধ করতেই কি এরকম ইঙ্গিত পূর্ণ বার্তা দেওয়া হচ্ছে?