ব্যুরো নিউজ, ৯ মেঃ কলেজ স্ট্রিটের ঐতিহ্যবাহী কফি হাউসের গায়ে লাগানো বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে অবশেষে কঠোর পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুরসভা। বৃহস্পতিবার সকালে পুরসভার দল এসে ভবনের নীচের তলায় চলা অবৈধ নির্মাণ পুরোপুরি ভেঙে ফেলে। পুরসভা আগেই এই বেআইনি কাজ বন্ধের নোটিস দিয়েছিল, তবু নির্মাণ চলছিল বলে অভিযোগ। অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ঐতিহ্যের ‘দেহে’ বসানো এই নতুন দাগ মুছে ফেলা হল।
পুরনো চেহারায় ফিরুক কফি হাউস
এই ঘটনায় স্থানীয় হকারদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, কফি হাউসের গা থেকে সব বেআইনি নির্মাণ সরিয়ে দেওয়া হোক। হকার গোপাল সাহা বলেন, ‘‘এত দিনের পুরনো ঐতিহ্য ভেঙে নতুন করে সাজানো অন্যায়। আগে যেমন ছিল, তেমনই থাকুক কফি হাউস।’’ হকার ইউনিয়নের সদস্য সেন্টু দত্তও একই সুরে বলেন, ‘‘বেআইনি দোকানও এখনও ভাঙা হয়নি। প্রশাসন যেন পুরো বিল্ডিং থেকে এই অবৈধ নির্মাণ সরায়।’’
জানা যাচ্ছে, কফি হাউসের ঐতিহ্যবাহী দোতলার অংশ বাদে একতলা এবং উপরতলার মালিকানা রয়েছে বেসরকারি সংস্থার হাতে। অভিযোগ, এক ব্যবসায়ীকে একতলার কিছু অংশ বিক্রি করে দেওয়া হয়, যিনি নিয়ম না মেনেই সেখানে নির্মাণ শুরু করেন। এই নিয়ে সরব হন কফি হাউস কর্তৃপক্ষ এবং হকাররা। কলকাতা পুরসভায় স্মারকলিপি জমা দেয় কফি হাউস সোশ্যাল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। প্রশ্ন ওঠে, কী ভাবে হেরিটেজ ভবনের গায়ে এই বেআইনি কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল?
মমতার খামে রাজনৈতিক কৌশল? দিলীপের দরজায় পৌঁছল নবান্ন!
অবশেষে কলকাতা পুরসভা এই নির্মাণকে বেআইনি ঘোষণা করে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়। স্থানীয় থানার সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার চলে অভিযান। প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার ব্যবসায়ীরা। তবে তাঁরা আরও দাবি করেছেন, ভবনের বাকি বেআইনি অংশগুলিও যেন দ্রুত সরানো হ্মত ঐতিহ্যবাহী কফি হাউস ঘিরে এমন ঘটনা শুধু পুরনো দিনের স্মৃতির উপরে ধুলো ফেলছে না, বরং নতুন করে ঐতিহ্য রক্ষার প্রশ্নও তুলে দিয়েছে।