ব্যুরো নিউজ, ১১ সেপ্টেম্বর:এক চিনা ব্যক্তি ঘুমের সময় তেলাপোকা গলার মধ্যে দিয়ে বুকে ঢুকে পড়ে। এতে তার শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হয় এবং অপারেশন করতে হয়। চিকিৎসকরা সফলভাবে অপারেশন শেষে তাকে সুস্থ করেন।অতিরিক্ত পোকামাকড়ের উপদ্রব হলে অনেক সময় এসব পোকামাকড় নাক বা মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে, যা শরীরে অস্বস্তির সৃষ্টি করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, কিছুক্ষণের মধ্যে পোকামাকড় শরীর থেকে বের হয়ে যায়। তবে সম্প্রতি চিনে একটি ঘটনার পরিসংখ্যান উঠে এসেছে যা শুনলে আপনিও চমকে উঠবেন।স্থানীয় চীনা সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, চীনের হাইয়ান প্রদেশের হাইকোর এলাকায় বসবাসকারী ৫৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তির সঙ্গে এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। ঘুমের সময়, তাঁর নাকে একটি অস্বস্তিকর অনুভূতি হওয়ার পর তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। তিনি অনুভব করেন যে, একটি বস্তু তাঁর গলার মধ্যে দিয়ে শরীরে প্রবাহিত হচ্ছে। ভীত হয়ে তিনি কাশতে শুরু করেন, তবে ওই বস্তুটি শরীর থেকে বেরিয়ে আসেনি।
আত্মহত্যা করতে গিয়ে ট্রেনলাইনে ঘুমিয়ে পড়ল তরুণী
নিঃশ্বাস থেকে অস্বাভাবিক দুর্গন্ধ
পরের দিন ওই ব্যক্তি ঘটনাটি ভুলে গিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকেন। কিন্তু তিন দিন পর আসল সমস্যা শুরু হয়, যখন তিনি লক্ষ্য করেন যে তাঁর নিঃশ্বাস থেকে অস্বাভাবিক দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। তিনি চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নেন। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করেবুঝতে পারেন যে, তাঁর নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের পেছনে ওই অস্বস্তিকর ঘটনাটির যোগসূত্র রয়েছে।চীনের ওই ব্যক্তি প্রথমে হাইনান হাসপাতালে গিয়ে ইএনটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেন। চিকিৎসকরা তাঁর শ্বাসযন্ত্রের পরীক্ষা করেন, তবে কোনো অস্বাভাবিকতা খুঁজে পাননি।
জঙ্গি হামলার মুখে জম্মু-কাশ্মীর: সংঘর্ষ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন উদ্বেগ
পরে, তাঁকে শ্বাসযন্ত্রের বিশেষজ্ঞ ডক্টর লিন লিং-এর কাছে রেফার করা হয়। ডক্টর লিন প্রথমে সিটি স্ক্যান করে দেখতে পান যে, ডানদিকের ফুসফুসে একটি বস্তু আটকে রয়েছে, যা সম্ভবত অস্বস্তিকর দুর্গন্ধের কারণ। এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের মাধ্যমে তিনি যথাযথ চিকিৎসার পথনির্দেশনা দেন।চীনা সংবাদ মাধ্যমকে ডক্টর লিন জানিয়েছেন, “প্রাথমিক পরীক্ষার মাধ্যমে আমি বুঝতে পারি যে ওই ব্যক্তির ফুসফুসে কিছু একটা আটকে আছে। ফুসফুসে অতিরিক্ত কফ থাকায় বস্তুটির প্রকৃতি সঠিকভাবে চিহ্নিত করা যাচ্ছিল না, তবে বস্তুটির পাখা শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। পরে, ওই ব্যক্তির বুক থেকে কফ অপসারণ করার পর আমরা দেখতে পাই যে, একটি তেলাপোকা ফুসফুসে আটকে রয়েছে।”
চিকিৎসকের এই মন্তব্যের মাধ্যমে তেলাপোকার উপস্থিতি নিশ্চিত হয় এবং যথাযথ চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়।তেলাপোকা শনাক্ত করার পর, এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে, চিকিৎসকরা দ্রুত ওই ব্যক্তির শ্বাসনালী থেকে পোকাটি বের করে ফেলেন। পোকা বের হওয়ার পর, ওই ব্যক্তি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং তাঁর নাক থেকে আর কোনো দুর্গন্ধ বের হতে থাকে না।তিনি সুস্থ হয়ে যান।