ব্যুরো নিউজ, ৫ ফেব্রুয়ারি: ফের একবার প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সেখ সাবির আলিকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সাবিরের বোন সাবিনা খাতুন জানান, তার ভাইয়ের দুটো পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলকোটের কামালপুরে।
বারবার শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে
অভিযোগ উঠেছে, মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ রহিমের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। শেখ রহিমের অনুগামীদের হামলায় গুরুতর জখম হন সাবির আলি। সাবির আলি মঙ্গলকোটের কামালপুর গ্রামের বাসিন্দা ও মঙ্গলকোট পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান হাসনাবানু বেগমের দেওর। তারা মঙ্গলকোট পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান সান্ত সরকারের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস করেন।
এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও থাকবে ইউনিক সিরিয়াল নম্বর
সূত্রের খবর, গতবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে শেখ রহিমের অনুগামীরা টিকিট পায়। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই রহিমের রোষের মুখে বারবার পড়তে হয় সাবির আলিকে। তাদের বাড়িছাড়াও করা হয়। অভিযোগ, দলের উচ্চ নেতৃত্বকে এই বিষয়ে জানানো হলেও তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। জানা গিয়েছে, রবিবার শেখ সাবির আলি মঙ্গলকোট গ্রামে গেলে সেখানে শেখ রহিমের অনুগামীরা তার উপর হামলা করে, তার দুটো পা ভেঙে দেয়। সাবিরের মা তাদের বাঁধা দিতে গেলে তাকেও মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবিরের বোন সাবিরকে উদ্ধার করে স্থানীয় মঙ্গলকোট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়।
তারপর সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়। মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান হাসনাবানু বেগম বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস করাটাই আমাদের অপরাধ। সাবিরের বোন দোষীদের শাস্তির দাবি করেছে।
বর্তমানে সেখ সাবির আলি বর্ধমান হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি। তিনি জানান, “আমি কিছু কাগজপত্র আনতে বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানেই রহিমের অনুগামীরা আমার উপর চড়াও হয়ে হামলা করে। শুধু তাই নয়। এরপর আমাকে পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে তারা মারধর করে। আমরা সান্ত সরকারের নেতৃত্বে তৃণমূল করি। ওরা মেরে আমার দুটো পা ভেঙে দিয়েছে। আমার গোটা শরীরে ওরা আঘাত করেছে। আমি ওদের শাস্তির দাবি করছি”। ইভিএম নিউজ