Civil war in Myanmar. Warning for Indians

ব্যুরো নিউজ, ৬ ফেব্রুয়ারি: মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের জেরে সমস্যার মুখে বাংলা। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে এ রাজ্যকে।

রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র বাহিনী মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ অঞ্চলে এখনও সক্রিয়। মায়ানমারের জুন্টা সরকারের অভিযোগ, এই সশস্ত্র রোহিঙ্গা বাহিনী বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঘাটিতে আশ্রয় নিয়েছে আরশা নামক রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র বাহিনী। জানা যাচ্ছে, রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র বাহিনী ভারতবর্ষের রহিঙ্গাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে। সূত্রের খবর, এই ধরনের রোহিঙ্গাদের কাজে লাগিয়ে নিজেদের কাজ হাসিল ও দেদারে কুকর্ম করে চালিয়ে যাচ্ছে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেক শাহাজাহাননের মতো প্রভাবশালী মানুষজন।

Civil war in Myanmar

শেক শাহাজাহানের মতো প্রভাবশালী মানুষজন এই ধরনের অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা-সহ সশস্ত্র আরশা বাহিনীকে বেআইনি ভাবে কাজে লাগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্যন্য রাজ্যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে চলেছে। ফলে এদিকেও কড়া নজর রেখেছে ভারত সরকার।

জেলের কয়েদিরাও এবার ইউনিভার্সিটিতে! কী জানালেন কারামন্ত্রী?

আর এই অবস্থাতেই মায়ানমারে গৃহযুদ্ধ। মায়ানমারের এই গৃহযুদ্ধে রয়েছে চিনের কালো হাত। যাতে রাখাইন প্রদেশে গভীর সমুদ্র বন্দর হাত ছাড়া না হয়। সে জন্য দু’দিকেই মদত দিচ্ছে চিন। একদিকে থ্রি ব্রাদার হুডস অ্যালাইন্স ও অন্য দিকে মায়ানমারের জুন্টা সরকারকেও অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে মদত দিচ্ছে চিন।

সশস্ত্র আরশা বাহিনীর ঘাঁটি পশ্চিমবঙ্গে!

আর এই সময়েই আরাকান আর্মি বর্ডার গার্ড পুলিশের (BGP) ওপর হামলা চালায়। সোমবার দুপুরে ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের উপর মর্টারশেল ফেলা হয়। এতে নিহত হন দুজন। মৃতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ। মায়ানমারে জুন্টার সঙ্গে আরাকান আর্মির গৃহযুদ্ধের আঁচ পড়েছে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের ওপরেও। বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় অনবরত গোলা মর্টারশেল পড়ছে।

মায়ানমারে এই সংঘাতের জেরে এখনও পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের ৯৫ জন সদস্য অস্ত্র-সহ বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ওই বর্ডার গার্ড পুলিশদের অস্ত্র ও গুলি নিজেদের হেফাজতে রেখে তাদের নিরাপদে আশ্রয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।

এর আগেই বান্দরবনের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের সংঘর্ষের জেরে মায়ানমারের ১৪ জন সীমান্তরক্ষী পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। মায়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮৩ কিলোমিটার।

অন্যদিকে, মায়ানামারে এই সংঘর্ষের জেরে দেশে ফের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢল নামার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করছে বাংলাদেশ। পড়শি দেশে সংঘর্ষের জেরে কোনওভাবে যাতে রোহিঙ্গারা সে দেশে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য সমস্ত রকম পদক্ষেপ করছে বাংলাদেশ। এর ফলে চাপ বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গের। কারণ বাংলাদেশে চূড়ান্ত সতর্কতা থাকায় রহিঙ্গারা এ রাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা চালাবে।

সূত্রের খবর, ভারতবর্ষের রহিঙ্গাদের সঙ্গে মিলে আগেই আরশা সশস্ত্র বাহিনী ভারত-সহ পশ্চিমবঙ্গে ঘাটি গেড়েছে। এবং আগামী দিনেও নতুন করে এই আরশা বাহিনী সিমান্ত রাজ্য ত্রিপুরা, আসাম দিয়ে অনুপ্রবেশ করে পশ্চিমবাংলায় ঘাটি গাড়ার চেষ্টা চালাবে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর