TMC factional conflict

ব্যুরো নিউজ ১২ জুন: কৃষ্ণনগর পুরসভার অচলাবস্থার কারণে শহরের নাগরিক পরিষেবা কার্যত সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে পুর বোর্ডের কোনো সভা না হওয়ায় বন্ধ হয়ে আছে নতুন প্রকল্প গ্রহণ। এমনকি পুরনো প্রকল্পগুলোরও কাজ অসম্পূর্ণ, কারণ দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে রয়েছে বাজেট অনুমোদন। সব মিলিয়ে শহরবাসী এখন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত, আর এই সমস্ত কিছুই ঘটছে শাসকদল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে।

অন্তত ৩০টি প্রকল্পে কার্যত তালা

চেয়ারপার্সন রীতা দাস ও বিরোধী তৃণমূল কাউন্সিলরদের মধ্যে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ ঘিরে যে রাজনৈতিক সংঘাত তৈরি হয়েছে, তা সরাসরি প্রভাব ফেলছে শহরের উন্নয়নমূলক কাজে। সড়ক, ড্রেনেজ, আলোর ব্যবস্থা, এমনকি ঠিকাদারদের পাওনা বিলও আটকে আছে। সূত্রের খবর, ৬০–৭০ লক্ষ টাকার বিল পেন্ডিং।

‘নির্লজ্জ কমেডিয়ান TMC MLA!’ কাঞ্চনকে একহাত নিলেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা

এদিকে আদালত পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে দ্বন্দ্ব। পুরসভার কাজ ঘিরে চলছে আইনি জটিলতা। ফেব্রুয়ারির পর কোনো সাধারণ সভা হয়নি, আর মার্চে গৃহীত বাজেট নিয়ে উঠেছে বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন। যদিও মে মাসে নতুন বাজেট অধিবেশনের আবেদন জানানো হয়েছে, কিন্তু এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে নতুন অর্থবর্ষে কোনও প্রকল্প বাস্তবায়নের পথই খুলছে না।

বনগাঁ কলেজে বাংলাদেশি সভাপতি? নাগরিকত্ব বিতর্কে তুঙ্গে আলোড়ন!

চেয়ারপার্সনের বিরোধী তৃণমূল কাউন্সিলর মিলন ঘোষ সরাসরি অভিযোগ করেছেন চেয়ারপার্সনের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে। আবার চেয়ারপার্সনও অভিযোগ করেছেন, কিছু কাউন্সিলর ইচ্ছাকৃতভাবে কাজ আটকে রাখছেন। বিরোধী বিজেপির কাউন্সিলর বর্ণালী গুইন দত্তের মতে, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল ভোগ করছেন সাধারণ মানুষ।’’

এই রাজনৈতিক অন্তর্কলহের জেরে শহরের অন্তত ৩০টি প্রকল্পে কার্যত তালা, অথচ এই প্রকল্পগুলিই ছিল শহর উন্নয়নের মূল স্তম্ভ। নাগরিকেরা হতাশ, ক্ষুব্ধ এবং নিরাপত্তাহীন বোধ করছেন।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর