ব্যুরো নিউজ, ৩ জুলাই: উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় যুবক-যুবতীকে প্রকাশ্য রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর। আর এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল নেতা তাজমুল ইসলাম ওরফে জেসিবির। ইতিমধ্যেই ঘটনায় জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। উত্তাল হয়েছে রাজ্য- রাজনীতি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধী শিবির। ইতিমধ্যেই সংসদেও এই নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির সৌমিত্র খাঁ। আর এবার চোপড়ার ইস্যু নিয়ে সরব অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী।
সৎসঙ্গে আসাই কাল! মৃত্যু ১১৬ জনের। ‘ভোলেবাবা’র খোঁজে পুলিশ! দায়ের মামলা
তবে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তাজমুল ওরফে জেসিবির নামে একাধিক অভিযোগ সামনে আসতেই শোরগোল। একাধিক অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। শুধু খুন নয়, খুনের চেষ্টা, শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর অভিযোগও ওঠে জেসিবির বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম করা, মহিলার সঙ্গে অভব্য আচরণ করা, পরিকল্পনা মাফিক অপরাধ মূলক ঘটনা ঘটনোর মতো একাধিক ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় সিপিএম নেতাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত জেসিবি।
এমনকি এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। যার বিরুদ্ধে এত গুরুতর সব অভিযোগ সে কি করে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেরাতে পারে? পুলিশ সব জেনেও কেন এত দিন ধরে চুপ করে বসে? কেনই বা ঘটনার এতদিন পর গ্রেফতার করা হল অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা জেসিবিকে? শুধু তাই নয়,
জেসিবি চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ঠ বলেও অভিযোগ, আর কিছুটা প্রমান অবশ্য মিলেছে, ওই যুবক-যুবতীকে মারধরের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই জেসিবির পাশে দাঁড়িয়েছে বিধায়ক হামিদুল। তবে এবার এই বিষয়ে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী।
জেসিবির মতো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাই বলেন বারাসাতের বিধায়ক চিরঞ্জিৎ। তিনি বলেন, একটা-দুটোও যদি ছারপোকার মতো বেরোয়, তবে এখনই মারতে হবে। না হলে বেড়ে যাবে।