ব্যুরো নিউজ, ৫ ডিসেম্বর : বর্তমানে বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষতিকারক চিনা রসুন যা সাধারণ মানুষ জানতেও পারছেন না এবং কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।এই চিনা রসুনের ব্যবহার দীর্ঘদিন চললে মানুষের কিডনি ও লিভারের উপর বিপজ্জনক প্রভাব ফেলতে পারে। সম্প্রতি হাওড়ার সাঁকরাইল থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কয়েক লক্ষ টাকার চিনা রসুন উদ্ধার করেছে। এই রসুন গুদামে মজুত ছিল এবং হাওড়া-কলকাতা সহ শহরতলির বিভিন্ন বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল।
পুলিশ বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে রাজ্য পুলিশের কড়া নির্দেশ
মোট বাজেয়াপ্ত রসুনের মূল্য প্রায় ৭ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা
পুলিশ জানিয়েছে ওই গুদাম থেকে ২৫৪ ব্যাগ চিনা রসুন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রতি ব্যাগে ছিল ১৮ কেজি রসুন এবং মোট বাজেয়াপ্ত রসুনের মূল্য প্রায় ৭ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা। গোডাউনের ম্যানেজার উপেন্দ্র যাদবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং গুদামের মালিক অরবিন্দ জয়সওয়ালের খোঁজ চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উপেন্দ্র জানিয়েছেন এই চিনা রসুন কখনও হিমাচলপ্রদেশ ও কখনও উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আনা হত।সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ সালে চিনা রসুন আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কারণ এতে মিথাইল ব্রোমাইড নামক ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যবহৃত হত। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। তবে নিষেধাজ্ঞার পরেও বিভিন্ন রাজ্য থেকে চোরাপথে এই রসুন ভারতে প্রবেশ করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন চিনা রসুনের সাদা রঙ ও বড় কোয়া আকর্ষণীয় হলেও এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে মিথাইল ব্রোমাইডের কারণে লিভার ও কিডনির নানা সমস্যা হতে পারে। এমনকি এটি স্নায়ু-শক্তির উপরেও ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে।
বিচারহীন বন্দিদশাঃ সারদা কাণ্ডের অভিযুক্তরা এক যুগ ধরে জেলে
এখন শহরের বাজারগুলোতে চিনা রসুনের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে প্রশাসনিক কর্তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তারা আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করছেন যাতে এই ধরনের ক্ষতিকারক রসুনের ব্যবহারের কারণে মানুষের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।