ব্যুরো নিউজ, ৬ সেপ্টেম্বর :আরজিকর হাসপাতালে তরুণী পড়ুয়া চিকিৎসককে ধর্ষণ খুনের ঘটনার ন্যায় বিচারের দাবিতে যখন গোটা রাজ্য উত্তাল সেখানে দীর্ঘ সময় পরেও নাবালিকার খুনের ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া শেষ হলো না কেন? এই নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতার স্বপ্নের প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’ নিয়ে বিস্ফোরক সাংসদ দেব
বিচার প্রক্রিয়া শেষ হতে দেরি হচ্ছে কেন?
উগান্ডার অলিম্পিয়ানকে আগুন লাগিয়ে খুন করল তার প্রেমিক
ঘটনাটি ঘটেছে আজ থেকে প্রায় আট বছর আগে। রাতের ফুটপাতে মায়ের সঙ্গে শুয়ে থাকা সেই ১২ বছরের নাবালিকার মুখ চেপে ধরে জোর করে দুই ক্যাপচালক গাড়িতে তুলেছিল। এরপর ওই দুই ব্যক্তির পর খিদিরপুরের এক বাসিন্দা ওই মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে। অপরাধ লুকোতে এবং তথ্য প্রমাণ লুটপাট করতে ভোরের আলো ফোটার আগেই মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে তারা।তপসিয়া এলাকার একটি খালে ফেলে দেওয়া হয় এই নাবালিকার দেহটি। এরপর তদন্তে নামে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। তারপরেই গ্রেপ্তার করে দুই ক্যাপচালককে। তিন মাসের মধ্যেই নিয়ম মেনে তাদের বিরুদ্ধে পাকসো আদালতে চার্জশিট পেশ করেন সেই তদন্তকারী অফিসার।
সন্দীপ ঘোষের রক্ষাকবচ খারিজ করলো সুপ্রিম কোর্ট
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে একত্রিশে আগস্ট এই ঘটনাটি ঘটে। ওই দুই অভিযুক্ত ক্যাপচালকের নাম গুড্ডু সিং এবং শংকর সাউ। ২০১৬ সালে নভেম্বর মাসে পাকসো আদালতে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে ৩৬৪, ৩৭৬এ, ৩৭৬ডি, ৩০২, ২০১ ,৩৪ এবংপাকসো আইনে চার ও ছয় ধারার চাটশিট জমা দেয় তদন্তকারী অফিসার। আর এরপরই বিচার শুরু করা হয়। আর এই তদন্ত চলাকালীনই প্রেসিডেন্সি জেলে মারা যায় গুড্ডু সিং।
স্বস্তিতে হেমন্ত সোরেন, হাইকোর্টে মিলল জামিন
আইনজীবীদের একাংশ জানিয়েছেন, মাঝখানে পাকসো আদালতে বিচারপতি ছিল না ফলে কিছুটা বিচার প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। এছাড়া করনার সময়ও তা বিচারকার্য নিয়মিত করা হয়নি।
সুপ্রিম কোর্টে নিরাশ বিএড পাশ চাকরিপ্রার্থীরা
সরকারি কৌশলী সৈকত পান্ডে জানান, বারবার অভিযুক্তর তরফ থেকে আইনজীবী পরিবর্তন করা হয়েছে এর জন্য বিচারকার্য শেষ হতে দেরি হচ্ছে। বর্তমানে লিগ্যাল অ্যাড এর তরফে অভিযুক্তর জন্য আইনজীবী নিযুক্ত করা হয়েছে আশা করা যাচ্ছে যে চলতি বছরের মধ্যেই এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে।