ব্যুরো নিউজ,২৭ সেপ্টেম্বর:চলচ্চিত্র “চান্দু চ্যাম্পিয়ন” কিছু মাস আগে মুক্তি পেয়েছে, তবে বক্স অফিসে খুব একটা সাড়া ফেলতে পারেনি। তবুও, ছবিটি ভারতের প্রথম প্যারালিম্পিক্স গোল্ড মেডালিস্ট মুরলিকান্ত পেটকরের জীবনকাহিনীর উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়ায় অনেকেই এতে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। বিশেষ করে অ্যাথলিট নভদীপ সিং।
দুর্গাপুজোয় সুখবর:বাংলায় এলো বাংলাদেশের ইলিশ
প্যারালিম্পিক্সে সোনা
২০২৪ সালের প্যারিস প্যারালিম্পিক্সে সোনা জিতে তিনি জানিয়েছেন, চান্দু চ্যাম্পিয়ন ছবিটি তাকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। নভদীপ F৪১ বিভাগে স্বর্ণ পদক অর্জন করেছেন এবং এই বিষয়টি নিয়ে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে কথা বলার সময় তিনি জানান, “আমি ছবিটি ডাউনলোড করে প্যারিস অলিম্পিকে যাওয়ার পথে দেখেছিলাম। যেভাবে কোচ কার্তিককে মোটিভেট করেছে, দারা সিং যেভাবে লড়াই করেছিল, আমি তেমনটাই করতে চেয়েছিলাম।”নভদীপ বলেন, “আমি ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। যদিও গোটা ছবিটাই খুবই অনুপ্রেরণামূলক, তবে আমার ওই একটি অংশই সবথেকে ভালো লেগেছে।”
আবহাওয়া রিপোর্টঃদুর্গাপুজোয় কেমন থাকবে বাংলার আকাশ?
মুরলিকান্ত পেটকরের জীবনের কাহিনী নিয়ে নির্মিত এই ছবিটি একদিকে যেমন একজন অসাধারণ অ্যাথলিটের জীবনের প্রতিচ্ছবি, অন্যদিকে তেমনি সকলের জন্য একটি উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা। পেটকরের জন্ম ১৯৪৪ সালের ১ নভেম্বর, মহারাষ্ট্রে। তিনি কুস্তি এবং হকির মতো একাধিক খেলায় পারদর্শী ছিলেন এবং দেশের জন্য প্রথম প্যারালিম্পিক্সে সোনা জিতেছিলেন।চলচ্চিত্রটির পরিচালক কবীর খান এবং প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াওয়ালা ও কবীর খান। ছবিটি ১৪ জুন মুক্তি পায় এবং এটি এক ধরনের জীবনীমূলক নাটক যা দেখায় কিভাবে এক অনুপ্রাণিত অ্যাথলিট তার কঠোর পরিশ্রম ও সংকল্পের মাধ্যমে সমস্ত বাধা অতিক্রম করে সাফল্যের শিখরে পৌঁছায়।অর্থাৎ, “চান্দু চ্যাম্পিয়ন” শুধুমাত্র একটি চলচ্চিত্র নয়, বরং এটি একটি জীবনের পাঠ যা সকলের জন্য অনুপ্রেরণা এবং সাহসের বার্তা নিয়ে আসে।