ব্যুরো নিউজ, ১৬ ফেব্রুয়ারি: একের পর এক ঘটনার জেরে কোনও ভাবেই শান্ত হচ্ছে না সন্দেশখালির পরিস্থিতি। শাসক দলের প্রতি ক্ষোভে ফুঁসছেন সন্দেশখালির বাসিন্দারা। তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে সেখানে দফায় দফায় পৌঁছাচ্ছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। আর তাদের যেনতেন প্রকারে আটকাতে প্রস্তুত রাজ্যের পুলিশ- প্রশাসন। আর সেই নিয়েই তুলকালাম পরিস্থিতি সন্দেশখালিতে। রাস্তা আটকানো হয়েছে ব্যরিকেড দিয়ে। নেতা-সাংসদদের রুখতে মতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এমনকি বারবার বিভিন্ন জায়গায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। তবে আদালতের নির্দেশে ১৪৪ ধারা তুলতে বাধ্য হয় প্রশাসন। তবে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এরপরেও কয়েকটি জায়গায় ফের জারি করা হয় ১৪৪ ধারা।
দিল্লিতে মহুয়া মৈত্রকে তলব ইডির
একের পর এক ঘটনায় ক্ষোভ বাড়ছে সেখানকার সাধারণ মানুষের। লাঠি-ঝাঁটা হাতে পথে নেমেছেন মহিলারা। অভিযোগ,শাসক দলের প্রভাবশালী নেতাদের অত্যাচারে জর্জরিত। তাদের দেওয়ালে পিট ঠেকে গেছে। গ্রামবাসীরা বলেন, দিনের পর দিন, রাতের পর রাত তাঁদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরের মহিলাদের সঙ্গে অন্যায়, অত্যাচার করা হয়েছে। কিন্তু, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে সেই অভিযোগ নেওয়া হয়নি। বরঞ্চ মীমাংসার জন্য যেতে বলা হত শাসক দলের প্রভাবশালী সেই উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরার কাছেই।
এই ঘটনার জল পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। দায়ের করা হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে সিবিআই বা সিট গঠন করে তদন্ত করার দাবি তোলা হয়েছে। এছাড়াও মনিপুরের মতো সন্দেশখালিতেও তিন বিচারপতির কমিটি গঠন করে তদন্ত করার দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্য সরকার যাতে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয় তাও জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি শুক্রবার সন্দেশখালি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। ওই এলাকায় দ্রুত সিআরপিএফ বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি জানানো হয়েছে। এই মামলা দায়ের করার অনুমতি দেবে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।