ব্যুরো নিউজ, ৩০ মে: CAA নিয়ে প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছে বিজেপি বিরোধীরা। এ রাজ্যেও তার অন্যথা হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শরু থেকেই CAA নিয়ে সরব। তিনি দাবি করেছেন CAA দিয়ে কেন্দ্র সরকার সকলকে বিদেশি প্রমান করতে চায়। তাই তিনি এই রাজ্যে CAA লাগু করতে দেবেন না বলেও সরব হন। তবে প্রথম থেকেই যেমন বিরোধীরা এই আইনের বিরোধিতা করেছে। তেমনই কেন্দ্রও বারবার অভিযোগ তুলেছে যে CAA নিয়ে বিরোধীরা সকলকে ভুল বোঝাচ্ছে। ভোটব্যাঙ্ক-কে খুশি করতেই এমন ভুয়ো তথ্য প্রচার করছে তারা। এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এও বলেন CAA আইনে কখনোই কারোর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না।
রথযাত্রার আগেই পুরিতে অঘটন! জগন্নাথের চন্দন যাত্রায় বিস্ফোরণে ঝলসে গেল ১৫ জন
সম্প্রতি, দিল্লীতে রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়া, ডাক বিভাগের সচিব, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্টর-সহ পদস্থ কর্তা-ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে প্রথমবার CAA-র অধীনে ১৪ জনকে নাগরিকত্ব তুলে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা। আর এবার নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন বা সিএএ-এর আইনের অধীনে ভারতের নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেতে শুরু করেছেন বাংলার মানুষ। গতকাল এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
ED স্ক্যানারে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা! রেশন দুর্নীতি মামলায় তলব
গত ১৫ মে দিল্লীতে প্রথম ১৪ জনকে CAA-র অধীনে নাগরিকত্ব তুলে দেয় কেন্দ্র। আর তার ঠিক ২ সপ্তাহের মাথায় বাংলাতেও সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে যে, বাংলার মানুষও সিএএ-এর আইনের অধীনে ভারতের নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেতে শুরু করেছে। CAA- নিয়ে প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছে বিজেপি বিরোধী শিবিরগুলি। তাদের অভিযোগ, নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নিতেই কেন্দ্র সরকার এই আইন আনতে চলেছে। কিন্তু তা নিয়ে বিজেপি শিবিরের বক্তব্য প্রথম থেকেই ছিল স্পষ্ট। তারা একাধিকবার দাবি করেছে, CAA-র অধীনে কারোর নাগরিকত্ব যাবেনা। আর বিরোধী দলগুলি সাধারণ মানুষকে CAA নিয়ে সম্পূর্ণ ভুল বোঝাচ্ছে। CAA-কে ইস্যু করে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে উস্কাচ্ছে।
২০১৯ সালেই এই আইন পাস হয়। তারপর এ বছরের মার্চ মাসেই এই আইনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে আগে বহিরাগতদের ভারতের নাগরিকত্ব পেতে অন্তত এগারো বছর ভারতে থাকতে হত। আর নয়া আইনে এই সময়কালের কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। সেই সময়কাল ১১ বছর থেকে কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে।