রাজ্য রাজনীতিতে কী প্রভাব
রাজ্যে একের পর এক গুলি চালানোর ঘটনায় উদ্বেগের আবহের মধ্যেই ফের বিস্ফোরক ঘটনা ঘটল কলকাতা বিমানবন্দরে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুজালি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর শেখ আমিরুল ইসলামের ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে গুলি ও ম্যাগাজিন। রবিবার দুপুরে ইন্ডিগোর মুম্বইগামী বিমানে চড়তে বিমানবন্দরে পৌঁছন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী ব্যাগ স্ক্যানিংয়ের সময় ধাতব বস্তু ধরা পড়তেই শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। এরপর নিরাপত্তাকর্মীরা ব্যাগ খুলে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করেন ৭.৬৫ মিমি ক্যালিবারের ৬ রাউন্ড কার্তুজ এবং একটি ম্যাগাজিন। তবে এই আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম রাখার কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি ওই কাউন্সিলর। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ঘটনার পর থেকেই তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। কাউন্সিলর কেন এমন বিপজ্জনক সরঞ্জাম নিয়ে বিমানবন্দরে ঢুকলেন, তার কোনও যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া কার্তুজ ও ম্যাগাজিন আইনত বৈধ নয়। ফলে বিষয়টি কতটা নিরাপত্তা বিপন্ন করার আশঙ্কা তৈরি করেছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এদিকে, এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব এই বিষয়ে কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া জানায়নি।Supreme Court : সুপ্রিম কোর্টে বিষ্ণুমূর্তি প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য, প্রধান বিচারপতির পদক্ষেপে অসন্তুষ্ট সনাতনীরা
বিরোধীরা ইতিমধ্যেই শাসক দলকে নিশানা করে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে। তাঁদের দাবি, রাজ্যের শাসক দলের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই সমাজে বেআইনি অস্ত্রের রমরমা চলছে। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে গুলি চালানোর একাধিক ঘটনার প্রেক্ষিতে এই ঘটনায় নতুন করে চাপের মুখে পড়তে চলেছে শাসক তৃণমূল। সাধারণ মানুষও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে—যদি এক জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে এভাবে গুলি-ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়, তাহলে সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা কোথায়?
ফলে, বিমানবন্দরের এই ঘটনার রেশ রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণ মানুষের আলোচনায় ছড়িয়ে পড়েছে। তদন্তকারীরা ঘটনার উৎস ও কার্তুজের যোগসূত্র খতিয়ে দেখছেন। এখন দেখার বিষয়, এই ঘটনার জেরে দলের ভিতরে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং রাজ্য রাজনীতিতে কী প্রভাব পড়ে।