ব্যুরো নিউজ, ১৫ ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গত দু’দিন ধরে গ্রাউন্ড জিরো থেকে তারই প্রতিবাদ চালাচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার। তার প্রতিবাদ মিছিল আটকাতে রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে আটকে ফেলা হয়। গতকালও তাঁকে হোটেল থেকে বেরোতে না দেওয়ার চাল চালে পুলিশ তবে রাজ্য পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে হোটেলের পেছন গেট দিয়ে বেড়িয়ে যান তিনি। এরপরই ইছামতী নদির ধারে সরস্বতীর পুজো করেন তিনি। তবে সেই চত্বরও ঘিরে ফেলে পুলিশ। এরপরই ফের উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পুলিশের গাড়ির উপর উঠে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। সেই নিয়ে বাধে ধুন্ধুমার কাণ্ড। ঠেলাঠেলি-ধস্তাধস্তি-বিশৃঙ্খলার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুকান্ত। অচৈতন্য অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান তিনি। চোখেমুখে জল ছিটিয়ে সংজ্ঞা ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। তারপরেই গাড়িতে তুলে বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভারতীয়দের মাটি ছাড়া করল মলদ্বীপের মুইজ্জুর সরকার
এই ঘটনার পরই সুকান্ত মজুমদারের উপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয় বিজেপি। প্রতিবাদে আজ সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপি অফিসের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি। কিন্তু সেই কর্মসূচিতেও ‘বাধা’ পুলিশ। সুন্দরবন পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে পুলিশি ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। বিজেপি সমর্থকেরা মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নব্যেন্দু সুন্দর নস্করের নেতৃত্বে এসপি অফিসের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় তাদের। এরপরই চরমে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের অতি-সক্রিয়তায় এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা।
অন্যদিকে বারুইপুরে এসপি অফিসের সামনেও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে যাদবপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত বিজেপির রাজ্য নেত্রী শর্বরী মুখার্জি, জেলা সভাপতি মনোরঞ্জন জোতদার-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকরা। আর এই বিক্ষোভ ও এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচিকে ঘিরে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আর সেখানের ছবিটাও কিন্তু অন্যরকম নয়। এই বিক্ষোভ-মিছিলকেও পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়। ইভিএম নিউজ