Bishnupur tour

শর্মিলা চন্দ্র, ৩ মে : বিষ্ণুপুর স্থাপত্য, সঙ্গীত এবং হস্তশিল্প সহ সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত।মল্ল রাজবংশের নামানুসারে শহরটিকে মল্লভূম নামেও অভিহিত করা হয়। মল্ল রাজাদের আমলে বিষ্ণুপুর ছিল প্রশাসনিক রাজধানী।

ঘুরে আসি: গ্রীষ্মের অফবিট জায়গা পছন্দ হলে ঘুরে আসুন চান্ডিল ড্যাম

ঘুরে আসুন টেরাকোটার দেশে

বিষ্ণুপুর সুন্দর পোড়ামাটির মন্দিরের জন্য বিখ্যাত। এই অঞ্চলের প্রতিটি মন্দির চমৎকার কারুকার্যের জন্য বেশ আকর্ষণীয়। বিষ্ণুপুরে গেলে শ্যাম রায় মন্দির, জোড়বাংলার যমজ মন্দির এবং রাসমঞ্চ, লালজি মন্দির, রঘুনাথজি মন্দির এবং মদন মোহন মন্দিরগুলি অবশ্যই দেখবেন।

এছাড়াও, বিষ্ণুপুরের মনোমুগ্ধকর শহরটি তার ঐতিহ্যবাহী তাঁতের শাড়ির পাশাপাশি পোড়ামাটির মৃৎশিল্প, শিল্পকর্ম এবং গহনা এবং বিষ্ণুপুর স্কুল অফ পেইন্টিংয়ের জন্যও পরিচিত। পোড়ামাটির পণ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হস্তনির্মিত সুন্দর জার, ডিস্ক, পোড়ামাটির ঘোড়া, হাতি, গণেশ এবং নটরাজ। সীমান্ত ও পল্লুর মহাভারতের দৃশ্য চিত্রিত বিখ্যাত বালুচরী শাড়িও এখানে তৈরি করা হয়।

প্রতি বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বিষ্ণুপুর মেলা পালিত হয়। এটি এখানকার প্রধান উৎসব। এটি জাতীয় মেলা হিসেবে বিবেচিত হয়। এই মেলা চার দিন ব্যাপী আয়োজিত হয়।

কীভাবে যাবেন:

হাওড়া বা সাঁতরাগাছি থেকে সরাসরি ট্রেনে করে বিষ্ণুপুর স্টেশনে যাওয়া যায়। কলকাতা থেকে সরাসরি সরকারি এবং বেসরকারি বাস যায়। এছাড়া ট্রেনে আরামবাগে নেমে সেখান থেকে বাসে করে কামারপুকুর, জয়রামবাটি হয়ে বিষ্ণুপুরে যাওয়া যায়। নিজস্ব গাড়িতে যেতে হলে সোজা মুম্বই রোড ধরে খড়্গপুর চৌরঙ্গী থেকে ডানদিকে ঘুরে মেদিনীপুর হয়ে যাওয়া যায়। আবার সাঁতরাগাছি বা নিবেদিতা সেতু পার হয়ে আরামবাগ, কামারপুকুর, জয়রামবাটি হয়ে তাড়াতাড়ি পৌঁছনো যায়।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর