ব্যুরো নিউজ ২৬ সেপ্টেম্বর: বেঙ্গালুরুর একটি ঘনিষ্ঠ বন্ধুর হাতে খুন হওয়া তরুণীর দেহ ৩০ টুকরো করে ফ্রিজে রাখার ঘটনার পর বুধবার ওড়িশার ভদ্রক জেলা থেকে অভিযুক্ত মুক্তিরঞ্জন রায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর কাছে একটি ‘সুইসাইড নোট’ও পাওয়া গেছে, যা পুলিশকে ঘটনার পেছনের কারণ জানাতে সাহায্য করেছে।
কলকাতা হাই কোর্টের প্রশ্ন:বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য রাজ্যের উদ্যোগ কী?
কিভাবে খুন হল তরুণী
নিহত তরুণীর নাম মহালক্ষ্মী, যিনি বেঙ্গালুরুর ভিয়ালিকাভাল এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। সপ্তাহখানেক আগে মুক্তিরঞ্জন বেঙ্গালুরু থেকে তাঁর বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। বুধবার পান্ডিতে এসে একটি গাছে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিরঞ্জন ও মহালক্ষ্মীর মধ্যে একটি তর্ক-বিবাদ হয়েছিল। সে সময় রঞ্জন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তরুণীর মাথায় ভারী একটি জিনিস দিয়ে আঘাত করে। ওই আঘাতেই মহালক্ষ্মীর মৃত্যু হয়। পরে, দেহ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দেয় রঞ্জন। গত শনিবার বেঙ্গালুরুর এক কামরার ফ্ল্যাট থেকে মহালক্ষ্মীর ৩০ টুকরো দেহ উদ্ধার করা হয়, যা অন্তত দু’সপ্তাহ ধরে পচছিল।
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন শিক্ষাবিদ হরিণী অমরসূর্য
বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দ জানিয়েছেন, অভিযুক্তের হদিস পাওয়া গেছে এবং তাঁকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা চলছিল। কিন্তু এর আগেই তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। পুলিশের তদন্ত এখনো চলছে, এবং তারা খুনের পেছনের কারণ এবং ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে।