ব্যুরো নিউজ ১৩ জুন: রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের বেশ কিছু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে দিনের পর দিন রান্না করা খাবার বন্ধ থাকায় জোরালো প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনিক গাফিলতি নিয়ে। কোথাও ১৫ দিন, কোথাও ৭ দিন ধরে শুধু সেদ্ধ ডিম দিয়েই চলছে “খাদ্য পরিবেশনের নামান্তর”। চাল-ডালের যোগান বন্ধ, ফলে গর্ভবতী, প্রসূতি মহিলা এবং ছোট শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁদের একমাত্র পুষ্টিকর খাবার থেকে।

কী ঘটছে আসলে মাটির টানে কেন্দ্রগুলিতে?
প্রতিদিন সকাল থেকে ছেলেমেয়েরা থালা-বাটি হাতে কেন্দ্রগুলিতে আসছে। কিন্তু তাদের ফিরে যেতে হচ্ছে খালি পেটে। খিচুড়ি, ভাত-সবজি, ডাল—সব অনুপস্থিত, শুধুমাত্র সেদ্ধ ডিম দেওয়া হচ্ছে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে। এক অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকার কথায়, “আমরা চাইলে কী করব! চাল, ডাল না থাকলে রান্না করব কী দিয়ে?”

তৃণমূলে রক্তগরম রাজনীতি ফের প্রকাশ্যে!

মে মাসে কিছু চাল মজুত থাকায় কোনওরকমে খিচুড়ি রান্না হয়েছিল। কিন্তু জুনের শুরু থেকেই সব থমকে গেছে। শুধুমাত্র দোকান থেকে ডিম কিনে দেওয়া হচ্ছে—যা শিশুদের একমাত্র দুপুরের খাবার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আশ্চর্যের বিষয়, রামপুরহাট ১ ব্লকে এমন কোনও সমস্যা নেই। তাহলে রামপুরহাট ২-এর কী দোষ?

প্রশাসনের অজানা তথ্য আর দায়িত্ব এড়ানো
বিডিও অর্ঘ্য দত্ত বলেছেন, তিনি বিষয়টি জানেন না। তিনি দায়িত্ব ঠেলে দিয়েছেন সিডিপিও-র দিকে। অথচ, রামপুরহাট ২ ব্লকে কোনও স্থায়ী সিডিপিও নেই। দায়িত্বপ্রাপ্ত সায়ন্তন মান্না জানিয়েছেন, ডিলার বদলের কারণে সাময়িক সমস্যা হয়েছে, তবে দ্রুত চাল-ডাল পাঠানো হবে।

পুলিশের কনস্টেবল গ্রেফতার, কী ছিল তাঁর ভূমিকা?

জেলাশাসক বিধান রায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, “এমন হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।” কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—দু’সপ্তাহ ধরে সমস্যা চললেও কেন এখনো সমাধান আসেনি?

পুষ্টির সঙ্কটে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম
রামপুরহাট ২ ব্লকের অনেক অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে খাবারই মানে একমাত্র দুপুরের পুষ্টিকর আহার। সেখানে এতবড় সংকট শুধু প্রশাসনিক ব্যর্থতারই প্রমাণ নয়, এটা শিশুদের অধিকার হরণের সামিল। এই পরিস্থিতিতে অঙ্গনওয়াড়ির উপভোক্তা পরিবারগুলোর ক্ষোভ দিন দিন বাড়ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর