ব্যুরো নিউজ, ২ এপ্রিলঃ দাড়ি রাখার শখ অনেকেরই থাকে, কিন্তু সেই দাড়ির সঠিক যত্ন না নিলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। দাড়ি কামানোর পর চুলকানি, লালচে র্যাশ, ব্রণ, এমনকি খুশকির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। অনেক সময় দাড়ির নিচের ত্বক এতটাই শুষ্ক হয়ে যায় যে আঁশের মতো ছাল উঠতে শুরু করে। এর প্রধান কারণ হতে পারে ছত্রাকের সংক্রমণ।দাড়ির যত্নের অভাবের কারণে ম্যালাসেজিয়া নামক এক ধরনের ছত্রাক জন্ম নেয়, যা ধীরে ধীরে ত্বকে ছড়িয়ে পড়ে এবং সেবোরিক ডার্মাটাইটিস নামক চর্মরোগ সৃষ্টি করতে পারে। এই রোগের ফলে ত্বক লাল হয়ে যায়, চুলকানি শুরু হয় এবং প্রদাহের সৃষ্টি হয়। তাই দাড়ির পরিচর্যা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেমনভাবে চুলের যত্ন নেওয়া হয়।
Today petrol price: আজ পেট্রল ও ডিজেলের দাম কোন রাজ্যে কত থাকছে এক নজরে জেনে নিন
দাড়ির যত্নের সহজ উপায়
আপনার দাড়ি যদি স্বাস্থ্যকর রাখতে চান এবং ছত্রাকের সংক্রমণ এড়াতে চান, তাহলে নিচের নিয়মগুলি মেনে চলুন: নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন – দাড়ির জন্যও আলাদা শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। জিঙ্ক, সেলেনিয়াম সালফাইড বা পাইরিথিয়ন জিঙ্ক সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করলে দাড়ির খুশকি দূর হবে এবং ছত্রাকের সংক্রমণ কমবে। অ্যান্টি-ফাঙ্গাল শ্যাম্পু বেছে নিন – দাড়ির ছত্রাকজনিত সমস্যা রোধ করতে কিটোকোনাজল সমৃদ্ধ অ্যান্টি-ফাঙ্গাল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এটি সংক্রমণ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী।
ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন – সাধারণ সাবান দাড়ির জন্য ভালো নয়, কারণ এতে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। তাই ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন, যা দাড়ির নীচের ত্বককে আর্দ্র রাখবে। সঠিক তাপমাত্রার জল ব্যবহার করুন – অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা জল ব্যবহার করবেন না। হালকা গরম জল দিয়ে দাড়ি ধোয়া উপকারী।ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন – মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই ত্বকে ও দাড়ির উপর ময়েশ্চারাইজার লাগান, যাতে ত্বক আর্দ্র থাকে এবং খুশকি না হয়। তেল ব্যবহার করুন – দাড়ির ত্বক নরম ও স্বাস্থ্যকর রাখতে ইউক্যালিপটাস অয়েল, টি ট্রি অয়েল, আমন্ড অয়েল, অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
স্নানের ১৫ মিনিট আগে দাড়িতে তেল লাগালে ভালো ফল পাবেন।দাড়ি শুধু স্টাইলের অংশই নয়, এটি স্বাস্থ্যকর রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। যদি নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয় বা সঠিক যত্ন না নেওয়া হয়, তাহলে ছত্রাক ও অন্যান্য চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। তাই দাড়িকে পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর রাখতে উল্লিখিত নিয়মগুলি মেনে চলুন এবং যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।