পূর্ব মেদিনীপুরের বাঁকিপুট

ব্যুরো নিউজ, ২৬ নভেম্বর : বাঙালির প্রিয় সমুদ্রতটের মধ্যে দিঘা, পুরী এবং দার্জিলিং তো থাকেই। তবে সাম্প্রতিক সময়ে, দিঘা ছাড়াও মন্দারমণি, তাজপুরের মতো সৈকতও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু যদি আপনি এই ভিড় থেকে দূরে থাকতে চান এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কিছু সময় কাটাতে চান তাহলে পূর্ব মেদিনীপুরের বাঁকিপুট আপনার জন্য আদর্শ স্থান হতে পারে।

শীতকালের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা ওড়িশার সিমলিপাল

বাঁকিপুটের সৈকতটি তার মনোরম পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। এখানে আপনি পাবেন ঝাউবনের সারি, ঝিঁঝির ডাক, নানা ধরনের পাখির কলকাকলি এবং এক বিস্তীর্ণ শান্ত সমুদ্র সৈকত। জোয়ারের সময় সমুদ্রের দৃশ্য অসামান্য হলেও, ভাটার সময় সমুদ্র চলে যায় অনেক দূরে। তখন সৈকতে আপনি দেখতে পাবেন লাল কাঁকড়ার দাপাদাপি, যা আপনার মন আকর্ষণ করবে। এই সৈকতটি ঘন ঝাউবনে ঘেরা, যেখানে হাঁটতে হাঁটতে আপনি পাবেন রোম্যান্টিক আবহ, সবুজের সমারোহ এবং দূষণমুক্ত পরিবেশ।এছাড়া বাঁকিপুটের ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে। আপনি এখানে ঘুরে আসতে পারেন ব্রিটিশ আমলে নির্মিত প্রাচীন বাতিঘর, যা সমুদ্রের ধারে অবস্থিত। হোটেল থেকে আধ কিলোমিটার হেঁটে পৌঁছাতে পারবেন এই বাতিঘরে। আর একবার বেড়িয়ে আসুন ৫ কিলোমিটার দূরে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিবিজড়িত কপালকুন্ডলা মন্দির থেকে। আরও কিছু দূরে রয়েছে দরিয়াপুর লাইট হাউস, যেখানে থেকে চারপাশের দৃশ্য বেশ ভালোভাবে উপভোগ করা যায়।বাঁকিপুটে আসার জন্য দিঘা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান। সেখানেও পৌঁছাতে পারবেন সোয়া এক ঘণ্টার মধ্যে।

কাজের ব্যাস্ততার মধ্যে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে দুদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন পুরুলিয়ার গড়পঞ্চকোট

আপনি বাস বা গাড়িতে করে দ্বিতীয় হুগলি সেতু পেরিয়ে কোলাঘাট থেকে কাঁথি হয়ে বাঁকিপুট পৌঁছাতে পারবেন। আরও সহজভাবে, তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস, কাণ্ডারি এক্সপ্রেস বা দুরন্ত এক্সপ্রেসে কাঁথি পৌঁছানো যায় এবং সেখান থেকে ভ্যানরিকশায় বাঁকিপুটে চলে আসা সম্ভব।বাঁকিপুটের আবহাওয়া সারাবছরই মনোরম থাকে, তাই যেকোনও সময় এখানে বেড়াতে আসা যায়। এখানে থাকার জন্য রয়েছে বেশ কিছু আধুনিক সুযোগ-সুবিধাযুক্ত জায়গা, যা আপনাকে একটি স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং শান্তিপূর্ণ অবকাশ উপহার দেবে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর