ব্যুরো নিউজ ১০ এপ্রিল: বাঘের হানায় প্রাণ হারানো তিনটি পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। দীর্ঘ বছর ধরে অপেক্ষার পর অবশেষে আদালতের রায়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেল সুন্দরবনের এই তিন পরিবার। বাঘের ভয়, কুমিরের আশঙ্কা নিয়েই যাঁদের প্রতিদিনের জীবনযাপন, তাঁদের মধ্যে তিনজন ব্যক্তি কর্মরত অবস্থায় প্রাণ হারিয়েছিলেন। ঘটনাগুলি ঘটেছিল যথাক্রমে ১৪ বছর, ১১ বছর এবং ৬ বছর আগে। আদালতের নির্দেশে, রাজ্য সরকারের বন দফতর আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে মৃতদের পরিবারগুলির হাতে ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা তুলে দেবে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায়ের ভিত্তিতে এই নির্দেশ কার্যকর হবে।
Today petrol price: আজ পেট্রল ও ডিজেলের দাম কোন রাজ্যে কত থাকছে এক নজরে জেনে নিন
বিচারপতির রায় এবং পরিবারগুলির দীর্ঘ লড়াই
আদালতের তথ্য অনুযায়ী, মৃত তিনজন হলেন – নিরাপদ মণ্ডল (গোসাবা, মৃত্যু ১৪ বছর আগে), বিশ্বজিৎ মণ্ডল (সুন্দরবন কোস্টাল থানা, মৃত্যু ১১ বছর আগে) এবং অর্জুন মণ্ডল (মৃত্যু ৬ বছর আগে)। তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিপূরণের দাবিতে মামলা লড়া হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত, আদালতের রায়ে পরিবারগুলির দীর্ঘ অপেক্ষা ও লড়াই স্বীকৃতি পেল।
Tollywood Gosip: বিয়ের পরেও নিস্তার নেই প্রাক্তনের হাত থেকে তাই সোহিনী এবার রনং দেহি
বিচারপতি অমৃতা সিনহা স্পষ্টভাবে জানান, বাঘের হামলায় প্রমাণিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে পরিবারগুলিকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ঘটনাটি কোর এলাকা না বাফার জোনে ঘটেছে, তা বিবেচনার প্রয়োজন নেই। অনেক সময় জীবিকার তাগিদে মানুষকে জঙ্গলে ঢুকতে হয়। সে ক্ষেত্রে বাঘের হানায় যদি মৃত্যু ঘটে, তবে গভীর জঙ্গলে প্রবেশের অজুহাতে পরিবারকে ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। ২০১৩ সাল পর্যন্ত নিয়মে কিছু জটিলতা থাকলেও, ২০২৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে এই জট কাটায়। বর্তমানে, হামলার কারণ প্রমাণ হলেই পরিবারগুলি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী হবে।
শোরুমের মার্বেলে লুকিয়ে আছে পাঁচ বিঘার গল্প! কি সেই গল্প?
এই রায়ের ফলে শুধু তিনটি পরিবার নয়, ভবিষ্যতে বাঘের হানায় ক্ষতিগ্রস্ত বহু পরিবারই আদালতের শরণাপন্ন হয়ে ন্যায়বিচার পেতে পারে বলে মনে করছে পরিবেশ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলি। বাঘের সঙ্গে সহাবস্থানের কঠিন বাস্তবতায় সুন্দরবনের মানুষের জীবন যে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, তা আরও একবার উঠে এল এই মামলার মাধ্যমে।