ব্যুরো নিউজ,১৫মার্চ: পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে গেছে। একটি ছোট ব্যবসায়ী পরিবারের চার বছরের শিশুকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে তারই গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক সঞ্জয় পতি ছাত্রের পরিবার থেকে পাওনা টাকা না পেয়ে প্রতিশোধ নিতে এই ভয়ংকর পথ বেছে নেন। শিশুটিকে ট্রলি ব্যাগে ভরে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় স্থানীয়দের তৎপরতায় অপহরণ চেষ্টাটি ব্যর্থ হয় এবং পরে পুলিশ অভিযুক্তসহ আরও চারজনকে গ্রেফতার করে।
বড় ট্রলি ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টা
মহাকাশ থেকে অবশেষে সুনিতারা ফিরছেন। তাদের আনতে উড়ে গেল ফ্যালকন- ৯
স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, নন্দীগ্রামের গড়চক্রবেড়িয়ার কাঁটাখালি এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় পতি শুক্রবার শিমূলকুন্ডু গ্রামে তার এক ছাত্রকে পড়াতে গিয়েছিলেন। শিশুটির বাবা-মা নিজেদের ব্যবসার কারণে সকাল থেকে বাইরে ছিলেন, ফলে বাড়িতে শিশু একাই ছিল। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের মনে হয়, সে শিশুটিকে অপহরণ করে পরিবারকে চাপ দিতে পারবে।
অভিযোগ অনুযায়ী, সঞ্জয় বাড়িতে প্রবেশ করেই শিশুটির মুখ কাপড়ে ঢেকে দেয়, যাতে সে চিৎকার করতে না পারে। এরপর শিশুটিকে একটি বড় ট্রলি ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ঠিক সেই সময়, নয় বছরের এক কিশোরী ঘটনাটি দেখে ফেলে। অপহরণকারী যাতে ধরা না পড়ে, তাই সেই মেয়েটিকেও বেঁধে রেখে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত।
তবে বেশ কিছু সময় পর মেয়েটি কোনোভাবে নিজেকে মুক্ত করে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা সেখানে ছুটে আসেন। তারা পুরো ঘটনা শুনে দ্রুত অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেন। বিপদের আঁচ পেয়ে সঞ্জয় নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের ঘোলপুকুরিয়া এলাকায় গিয়ে ট্রলি ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পাশাপাশি, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে আরও চারজনকে আটক করা হয়।
মেথি বীজ শুধু রান্নাঘরের মসলা নয় আপনার স্বাস্থ্যের জন্য এক আশীর্বাদ!কিভাবে জানুন
জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পারে, গৃহশিক্ষক সঞ্জয় পতি বেশ কিছুদিন ধরে শিশুটির পরিবার থেকে পাওনা ১০ হাজার টাকা ফেরত চাইছিলেন, কিন্তু টাকা পাচ্ছিলেন না। তখন তার এক বন্ধু তাকে কৌশল বাতলে দেয় যে, পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হলে তাদের সন্তানকে কিছু সময়ের জন্য আটকে রাখতে হবে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সঞ্জয় শিশুটিকে অপহরণের চেষ্টা করে। তবে পুলিশি হস্তক্ষেপে সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়।
এই ঘটনার পর পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। বর্তমানে পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং এই ঘটনার পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে।