ব্যুরো নিউজ,১৫মার্চ: বদলে যাচ্ছে জীবনের গতিপথ, তবে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আমাদের দৈনন্দিন ব্যস্ততা। স্মার্টফোনের অতি ব্যবহারের কারণে আমাদের ঘুমের সময়ও কমে যাচ্ছে, যার ফলে শরীরে একাধিক শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি নিয়মিত ৭ ঘণ্টা ঘুম না হয়, তবে তা শরীরের জন্য মারাত্মক হতে পারে।ঘুমের অভাবে শরীরে মারণ রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
ঘুমের অভাব শরীরে কী কী সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
চৈত্রের শুরুতেই তাপপ্রবাহের খেল শুরু সতর্কতা আবহাওয়া দপ্তরের
ঘুম কম হওয়ার ফলে যে সমস্যা গুলি হতে পারে, তার মধ্যে অন্যতম হল ঝিমুনি। দিনের বেশিরভাগ সময় আমাদের একাধিক কাজের চাপে জর্জরিত থাকতে হয়, কিন্তু যদি রাতে ৭ ঘণ্টার কম ঘুম হয়, তবে পরের দিন শরীরে ঝিমুনি এবং ক্লান্তিবোধ দেখা দেয়। এ কারণে দিনের কাজকর্মে মনোযোগ দেওয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।
আরেকটি গুরুতর সমস্যা যা কম ঘুমের কারণে হয়ে থাকে তা হল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কমে যাওয়া। শুধু সুষম খাবার গ্রহণ করলেই শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব নয়, এজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি আপনি প্রতি রাত ৭ ঘণ্টার কম ঘুমান, তাহলে আপনার শরীর অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই, ঘুমের অভ্যাস পরিবর্তন করে সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন।
এক্সট্রা স্পেশাল ফ্রুট কেক যা খেতে খুবই সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর, এই কেক তৈরির জন্য রইল সহজ রেসিপি
অপরদিকে, যারা নিয়মিত কম ঘুমান, তাদের সিওপিডি (COPD) বা ফুসফুসজনিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, কম ঘুমের কারণে ফুসফুসের সমস্যা বাড়তে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হতে পারে। তাই, সঠিক ঘুমের অভ্যাস গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া, যারা ঘুমের অভাবে অতিরিক্ত বা কম ওজনের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্যও এই ঘুমের অভাব একটি বড় কারণ হতে পারে। ওজনজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে, বিশেষত যখন ঘুম কম হয়, শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়, যার ফলে অকারণে ওজন বেড়ে যেতে পারে বা কমে যেতে পারে।
পার্লারে যেতে লাগবেনা পুষ্টিকর পানীয় খেয়ে ত্বককে উজ্জ্বল ও সুন্দর করুন
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, নিয়মিত ৭ ঘণ্টার ঘুম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিমাণ ঘুমের মাধ্যমে হৃদযন্ত্র, রক্তচাপ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মতো শারীরিক সমস্যাগুলি কমানো সম্ভব। তবে, অনেকেই অভিযোগ করেন যে, তাঁরা চাইলেও রাতের সময় সঠিকভাবে ঘুমোতে পারেন না। এজন্য কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে ভালো ঘুম নিশ্চিত করা সম্ভব:
- রাতের খাবার ঘুমানোর কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা আগে খেয়ে ফেলুন।
- কফি বা ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় থেকে দূরে থাকুন, বিশেষত সন্ধ্যার পর।
- প্রতি রাত নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
- ঘরের সব আলো নিভিয়ে অন্ধকার পরিবেশ তৈরি করুন।
- স্মার্টফোন কিংবা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইস বিছানার পাশে রাখবেন না, কারণ এগুলি ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়।
এই সহজ নিয়মগুলো অনুসরণ করলে আপনি আপনার দৈনন্দিন জীবনে আরও ভালো ঘুম এবং সুস্থ শরীর পেতে পারবেন। তাই, আপনার ঘুমের অভ্যাসে পরিবর্তন আনুন এবং সুস্থ জীবনযাপন করুন।