ব্যুরো নিউজ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ : এশিয়া কাপ ২০২৫-এর এক হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে ভারত পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানের দেওয়া ১২৮ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতীয় দল মাত্র ২৫ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে। বোলারদের দাপটে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। ব্যাট হাতেও ভারতীয়রা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, যা এই জয়ের পথ প্রশস্ত করেছে।
বল হাতে কুলদীপ ও অক্ষরের জাদু
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান শুরু থেকেই চাপে ছিল। ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। কুলদীপ যাদব এবং অক্ষর প্যাটেল দারুণ বোলিং করে যথাক্রমে ৩ এবং ২ উইকেট তুলে নেন। এর ফলে পাকিস্তানের রান বেশিদূর এগোতে পারেনি।
অভিষেকের ঝোড়ো ব্যাটিং
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত শুরুতেই দারুণ গতিতে রান তোলে। ওপেনার অভিষেক শর্মা পাওয়ারপ্লেতেই ঝোড়ো ব্যাটিং করে দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে দেন। তিনি দ্রুত রান তোলায় ভারত শুরু থেকেই চাপমুক্ত ছিল।
অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের দায়িত্বশীল ইনিংস
অভিষেক আউট হওয়ার পর অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এবং তিলক ভার্মা মিলে দলের রানের চাকা সচল রাখেন। সূর্যকুমার তার জন্মদিনে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। তিনি শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে দলকে জয় এনে দেন। তার ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও একটি ছয়। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি দলকে জয় এনে দেন।
ভারতের গর্ব গুকেশ, দাবায় কার্লসেনকে হারিয়ে ইতিহাস গড়লেন নরওয়েতে
সেনা বাহিনীর জন্য উৎসর্গ
ম্যাচ জয়ের পর ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এই জয়টি ভারতীয় সেনা বাহিনীর জন্য উৎসর্গ করেন। তিনি বলেন, “সঠিক সময়ে আমরা এই জয়টি পাহেলগামের সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের উৎসর্গ করতে চাই। আমরা আমাদের সাহসী সেনা বাহিনীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করি। আশা করি, তারা আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে এবং আমরা তাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আরও সুযোগ পাব।”
খেলা এবং দেশপ্রেম
পাহেলগামের ঘটনার পর রাজনৈতিক এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে এই বিষয়ে ব্যাপক বিতর্ক দেখা যায় যে, খেলাধুলা এবং হিংসা একসাথে চলতে পারে কি না। অনেকেই মনে করেন যে, যেখানে একদিকে রক্ত ঝরছে, সেখানে খেলাধুলা করা উচিত নয়। তবে আরেকটি দৃষ্টিকোণ থেকে, এই ধরনের বড় টুর্নামেন্টে পাকিস্তানকে পরাজিত করে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দেওয়া ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে। এর মাধ্যমে ভারত প্রমাণ করে যে, তারা যেকোনো ক্ষেত্রেই তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারাতে পারে, তা সে যুদ্ধক্ষেত্রেই হোক বা খেলার মাঠে।