ব্যুরো নিউজ, ১৭ ফেব্রুয়ারি: এই মুহূর্তে নিঃসন্দেহে তিনি ভারতের সেরা স্পিনার। বিশ্ব ক্রিকেটেও তার স্পিনের জাদু দেখছে সবাই। শুক্রবার টেস্ট ক্রিকেটে তিনি ৫০০ উইকেট নেওয়ার গণ্ডী ছুঁয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের উইকেট পতনের শুরু তার হাতেই। সেই রবিচন্দন অশ্বিন খেলবেন না চলতি রাজকোটে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে। কিন্তু কেন? সে প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর মেলেনি। শুক্রবার রাতে হঠাৎ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ফ্যামেলি ইমারজেন্সির কারনে টেস্ট টিমের বাইরে রাখা হচ্ছে অশ্বিনকে। তবে, তা কোনও শাস্তি মূলক কারনে যে নয়, তা স্পষ্ট। অশ্বিনও চলতি তৃতীয় টেস্ট শেষেই ফিরবেন তার বাড়িতে।
লড়াইয়ে বাবার অবদান ভুলবো না
মন্ত্রিসভা থেকে নাম কাটার পর জামিনের আবেদন বালুর
৫০০ উইকেট নেওয়ার পরেই মাঠে এক মুখ হাসি নিয়ে হাত তুলে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বলেছেন, সারা জীবনে আমি যা কিছু সাফল্য পেয়েছি সব বাবার জন্যই। মাঠে আমার খেলা থাকলে বাবা এতো আগ্রহ দেখান যে মনে হয় এই বুঝি তার হৃদরোগ দেখা দেবে। সারাক্ষণ আমাকে উৎসাহ দিয়ে গেছেন। বাবা তাই নিশ্চয়ই আমার ৫০০ উইকেটের গণ্ডী ছোঁয়ায় খুশি হয়েছেন। উল্লেখ্য, ভারতীয় ব্যটার এবং প্রাক্তন অধিনায়ক হঠাৎই টিমের বাইরে যাওয়ার সঠিক কারনও বোর্ড জানায়নি। সেটাও ছিল জরুরি পারিবারিক প্রয়োজনে বাড়ি যাওয়া। অবশ্য, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই দুই ক্রিকেটারের পাশে তারা আছেন। চতুর্থ টেস্টে এহেনও অশ্বিন না থাকা নিঃ সন্দেহে ভাবিয়ে তুলবে ভারতকে।
তার ৫০০ উইকেটের গণ্ডী ছোঁয়ায় প্রাক্তন ভারতীয় স্পিনার অনিল কুমলে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। অশ্বিনকে তিনি চ্যাম্পিয়ান উল্লেখ করে বলেছেন, ওর শেখার ইচ্ছা শেষ হবে না। আবার শচিন তেনদুলকর বলেছেন, ‘৫০০ টেস্ট উইকেট পর আ ১-ইন-আ-মিলিয়ান বোলার’। অশ্বিন বলেছেন, আমার এটা লং জার্নি। কোথা থেকে যে শুরু করবো জানিনা। আমি আসলে একজন অ্যাক্সিডেন্টাল স্পিনার। তার লড়াইয়ের কথা বারবারই খেলা শেষে উঠে এসেছে। বলেছেন, একজন ক্রিকেটার হিসাবে ববাবরই ভালো কিছু করে যাওয়ার ইচ্ছেটা টানা অটুট রয়ে গেছে। চলতি টেস্ট নিয়ে বলেছেন, ৫০০ উইকেট নেওয়াটা এখন অতীত। এই টেস্ট ম্যাচ এখনও ৫০-৫০ জায়গায় রয়েছে। পিচ যেভাবে ভাঙছে তৃতীয়- চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা কঠিন হবে ধৈর্য ধরে ভারতীয় দল্কে বোলিং করতে হবে। নিঃ সন্দেহে বাজবলের ক্যারিশ্মা দেখিয়ে ইংল্যান্ড ব্যটার ডাকেট একাই ভারতীয় বোলারদের ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। ভরতে পেস ও স্পিন দুটোই যেনও ডাকেটের কাছে পাড়ার বোলার হয়ে উঠেছিল। দ্বিতীয় দিনের শেষে দ্রুত ১৩৩ করে নটআউট ছিলেন ডাকেট। তবে ভারতীয় টিম এবার যথেষ্ট আত্ম বিশ্বাসে সতর্ক। কিন্তু প্রশ্ন রয়েগেল, দ্বিতীয় দিনে বোলিংয়ে কোনও ছাপ না ফেলা জাদেজা ও কুলদিপ অশ্বিনের ফাঁক পূরণ করতে পারবে কি না?