ব্যুরো নিউজ,৮ এপ্রিলঃ আম্বেদকর জয়ন্তী প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল পালিত হয়। এটি ভারতের জাতি প্রতিষ্ঠাতা, সমাজ সংস্কারক এবং সংবিধানের প্রধান রচয়িতা ড. বি. আর. আম্বেদকরের জন্মদিন। ১৮৯১ সালে মহারাষ্ট্রের মऊ জেলা, দিনদীহি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। আম্বেদকর জয়ন্তী একটি ঐতিহাসিক দিন, যা ভারতের সমাজে তার অবদান এবং সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উদযাপন করা হয়।
ড. আম্বেদকর ছিলেন ভারতের জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে সংগ্রামী একজন নেতা। তিনি শোষিত, প্রান্তিক এবং নিম্নবর্গের মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করেছেন। ভারতীয় সমাজের নানা স্তরে পীড়িত মানুষের জন্য তিনি শিক্ষা, সমতার, এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য দীর্ঘ সময় লড়াই করেছেন। ড. আম্বেদকর ভারতীয় সংবিধান রচনার কাজের মাধ্যমে দেশের আইন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও ন্যায়ভিত্তিক করেছিলেন। তার নেতৃত্বে, তিনি ভারতীয় সমাজের বিভিন্ন শোষিত জনগণের জন্য নতুন অধিকার ও স্বাধীনতার দরজা খুলে দিয়েছিলেন। তিনি সর্বদা শিক্ষা, সামাজিক সমতা, এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন।
বিপদের ভ্রান্ত সংকেত! তরুণীর চিৎকার শুনে দরজা ভাঙল পুলিশ, বাস্তবতা দেখে হতবাক!
কেন আম্বেদকর জয়ন্তী পালিত হয়:
আম্বেদকর জয়ন্তী উদযাপন ভারতের মানুষের জন্য একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এটি শুধুমাত্র ড. আম্বেদকরের জন্মদিন নয়, বরং তার অসামান্য কাজ এবং সমাজ পরিবর্তনে তার অবদানকে সম্মান জানানো হয়। তিনি দলিতদের এবং পীড়িত মানুষের জন্য এক নতুন পৃথিবী তৈরি করতে চেয়েছিলেন যেখানে প্রতিটি নাগরিক সমান অধিকার পাবে। তারই ত্যাগ ও সংগ্রামের কারণে আম্বেদকর জয়ন্তী সারা দেশে পালন করা হয়।
১৬ GB র্যাম-সহ Nokia G42 5G ফোন কিনলে ফ্রিতে Bluetooth headphone!
এই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে তার মূর্তি ও ছবি সেজে রাখা হয়, বিশেষ আলোচনা সভা ও সম্মেলন আয়োজন করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমাজ সেবা সংস্থা, এবং রাজনৈতিক সংগঠনগুলো তার আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রচার করে। আম্বেদকর জয়ন্তী শুধু একটি উৎসব নয়, এটি ভারতীয় সমাজের মূল স্তম্ভ হিসেবে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে মনে রাখার দিন। তাঁর চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গি ভারতের ইতিহাস এবং সমাজ ব্যবস্থাকে পরিবর্তিত করেছে, তাই আজও তার আদর্শ অনুসরণ করা হয়।