ব্যুরো নিউজ, ২৬ মার্চ: ভোটের মুখে ফের তৎপর নির্বাচন কমিশন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে কমিশন। এর আগে বাংলার ৪টি জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসকদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। তব্র শুধু বাংলা নয়। বাংলার এই চার জেলার পাশাপাশি গুজরাতের ছোট উদয়পুর এবং আহমেদাবাদ গ্রামীণের পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়েছে। পঞ্জাবের পাঠানকোট, ফাজিলকা, জলন্ধর গ্রামীণ ও মালেরকোটা জেলার এসএসপি-কে বদলি করা হয়েছে। ওড়িশার ধেনকানালের জেলাশাসক ও দেওগড় ও কটক গ্রামীণের পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়েছে। এছাড়াও একাধিক রাজ্যে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদেরও বদলি করেছে কমিশন। এমনকি আদর্শ আচরণবিধি লাগু হতেই রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে রাজীব কুমারকে সরিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য দিলীপ ঘোষের! ভাইরাল ভিডিও
এমনকি ভোটে তারকা প্রার্থীদের ভোট-প্রচার নিয়ে কড়া বার্তাও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জানানো হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারে কোনরকম ঘৃণা বা উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখা যাবে না। জাত-ধর্ম নিয়ে কোনও বার্তা দেওয়া যাবে না। সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের এই বিষয়টি মেনে চলতে হবে বলে জানায় কমিশন।
এর পাশাপাশি কোনও জায়গায় যাতে অশান্তি মূলক কোনও ঘটনা না ঘটে সেই জন্যও উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনিকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। এই নিয়ে সরব হয়েছিল বিরোধী শিবির। কিন্তু এবার আর তার পুনরাবৃত্তি চায়না কমিশন। তাই এবার সেই সমস্ত ব্যবস্থা সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য করা হল ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রুটমার্চ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সামনে আনা হবে। সাধারণ মানুষ এমনকি রাজনৈতিক দলগুলির এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবে।
এ কী কাণ্ড! শতাব্দীর নামে গোবর!
রাজ্যে চলে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শান্তিপূর্ণ ভোট পরিচালনার জন্য পশ্চিমঙ্গের জন্য ধার্য করা হয়েছে ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। রুটমার্চও শুরু হয়ে গিয়েছে। কোন জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ করেছে কি করছে না সেই সকল তথ্য পাওয়া যাবে ceowestbengal.nic.in-এই ওয়েবসাইটে। যদি সত্যি দেখা যায় যে কোনও বিশেষ একালায় পুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে যাচ্ছে না বা রুটমার্চ করাচ্ছে না তবে সে বিষয়ে ডিইও-কে সরাসরি অভিযোগ জানানো যাবে।