ব্যুরো নিউজ ১৫ই মে : পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার আবহে, ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তানের ভারতকে আক্রমণের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। পহেলগাম হামলার জবাবে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়, যাতে নয়টি জঙ্গি শিবিরে শতাধিক জঙ্গি নিহত হয়।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ভারতীয় সামরিক ও বেসামরিক এলাকায় হামলার চেষ্টা করে, তবে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে অন্যতম ছিল আকাশতীর।
আকাশতীর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কী?
আকাশতীর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্বারা চালিত, ভারতের সীমান্ত এলাকায় পাকিস্তানের ক্ষয়ক্ষতি করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে। এই ADS ৮-৯ মে পাকিস্তানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করে, যা ভারতের পশ্চিমা সীমান্তের ২৬টি স্থানে আঘাত হানার লক্ষ্য নিয়েছিল। পরের দিন, পাকিস্তান আবারও ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করে, বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ড্রোন—কিছু সম্ভবত সশস্ত্র—দেখা যায় বলে খবর পাওয়া গেছে।
এতে কোনো বিদেশি যন্ত্রাংশ নেই এবং এটি বহিরাগত স্যাটেলাইটের উপরও নির্ভরশীল নয়। কর্মকর্তারা এটিকে ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’-এর নিজস্ব সংস্করণ বলে অভিহিত করেছেন। এবং বহু মাত্রায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা কে অতিক্রম করেছে আধুনিকতায় এবং কার্যকারিতায় !!!!
আকাশতীর উন্নত AI সফটওয়্যার এবং মানব হস্তক্ষেপ ছাড়াই আগত বিপদ সনাক্ত ও বাধা দেওয়ার জন্য স্বয়ংক্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সিস্টেম ব্যবহার করে। এটি রাডার সিস্টেম, NAVIC-এর মতো মহাকাশ-ভিত্তিক উৎস এবং গ্রাউন্ড সেন্সর থেকে ডেটা একত্রিত করে একটি সমন্বিত, রিয়েল-টাইম আকাশসীমার চিত্র তৈরি করে। এটি ড্রোন, লোইটারিং অ্যামুনিশন এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মতো হুমকির প্রায় তাৎক্ষণিক লক্ষ্য নির্ধারণ ও মোকাবিলা করতে সক্ষম।
ডিডি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “আকাশতীর কোনো সক্রিয় রাডার স্বাক্ষর ব্যবহার না করে, সম্পূর্ণভাবে গোপন ড্রোন ট্র্যাকিং, স্যাটেলাইট নজরদারি এবং AI-ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে শত্রু UAV গুলিকে সনাক্তকরণ ছাড়াই বাধা ও নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম।”
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, “আকাশতীরের মাধ্যমে ভারত সম্পূর্ণরূপে স্বয়ংক্রিয় ড্রোন ঝাঁক, দেশীয় স্যাটেলাইট নজরদারি এবং AI-চালিত যুদ্ধক্ষেত্র সমন্বয়কে একটি একক যুদ্ধ-প্রস্তুত প্ল্যাটফর্মে সম্পূর্ণরূপে একত্রিত করা প্রথম অ-পশ্চিমা দেশ হয়ে উঠেছে।”
