ব্যুরো নিউজ ১৩ জুন: ২০২৫ সালের জুনে ঘটে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়া ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনা কেবল একটি সাধারণ বিমান দুর্ঘটনা নয়—এই ঘটনায় উঠে আসছে একের পর এক প্রশ্ন, বিমানের ক্রমাগত টেকনিক্যাল সমস্যাগুলিকে ঘিরে ষড়যন্ত্রমূলক সন্দেহ।
কেন্দ্রবিন্দুতে খালিস্তানি ষড়যন্ত্র
২০২৩ সালের নভেম্বরে খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুন-এর হুমকি, যেখানে সে ভিডিও বার্তায় বলেছিল, “১৯ নভেম্বরের পর কোনও শিখ যেন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে না ওঠে”, সেই ঘোষণার ছায়া যেন গাঢ়ভাবে পড়ে চলেছে এই ঘটনায়।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে একাধিক বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বিস্ফোরকের হুমকি দেওয়া হয়েছিল ফোনকলের মাধ্যমে। যদিও প্রতিবারই তা ‘হোক্স কল’ হিসেবে ধরা পড়েছে, তবে সবচেয়ে বেশি এই কল এসেছে এয়ার ইন্ডিয়াকেই লক্ষ্য করে—মাত্র অক্টোবর মাসেই ১৩ বার। একই সময় থেকে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারে শুরু হয় একের পর এক টেকনিক্যাল ফল্ট—হাইড্রলিক লিক, ফ্ল্যাপ ম্যালফাংশন, ইঞ্জিন পাওয়ার লস, যেগুলো এতটাই ধারাবাহিক যে তা নিছক ‘গাফিলতি’ বলেও মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।
Aero India 2025ঃ HAL এর নতুন ‘যশস’ জেট ট্রেনার উন্মোচন করল
বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে এমন ইঞ্জিন ফল্ট অত্যন্ত বিরল, বিশেষ করে কার্বন ফাইবার স্ট্রাকচারে তৈরি ড্রিমলাইনারের মতো উন্নত প্রযুক্তির বিমানে। কিন্তু আমেদাবাদ-লন্ডন ড্রিমলাইনারের ক্ষেত্রে ঠিক টেক অফের সময় ইঞ্জিনে পাওয়ার লস এবং মাত্র আড়াই মিনিটেই ‘মে ডে’ কলের পর নিস্তব্ধতা—সব মিলিয়ে সন্দেহ ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে।
এখন তদন্তে নেমেছে এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB), এনআইএ, এবং মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা। সবার নজর এখন ব্ল্যাক বক্সের দিকে—কারণ সেই তথ্যই হয়তো খুলে দেবে আসল সত্যের দরজা। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই তদন্ত জোরদার করা হয়েছে, এবং প্রতিটি গ্রাউন্ড স্টাফ ও নিরাপত্তা কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।
পর্ন-কাণ্ডে ‘ফুলটুসি’ শ্বেতা খান অবশেষে গ্রেফতার, চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
সবমিলিয়ে প্রশ্ন একটাই—এটা কি নিছক দুর্ঘটনা? নাকি পান্নুন ও বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে লস্করের হাত মিলিয়ে করা কোনও সুপরিকল্পিত সন্ত্রাস?
সময়ই দেবে উত্তর।
তবে যতক্ষণ না সত্য উদ্ঘাটিত হচ্ছে, ততক্ষণ গোটা দেশের নজর থাকবে এই প্রশ্নে—গাফিলতি, না ষড়যন্ত্র?