ব্যুরো নিউজ ১২ জুন: গুজরাটের আহমেদাবাদে এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে, যেখানে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি AI 171 ড্রিমলাইনার বিমান টেক-অফের কিছুক্ষণ পরই মেঘানিনগর জনবহুল এলাকায় ভেঙে পড়ে। এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় বিমানটিতে থাকা ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন বিমানকর্মী সহ মোট ২৪২ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রাথমিক খবর অনুযায়ী, মৃতদের মধ্যে দুটি শিশুও রয়েছে।
দিল্লি থেকে নির্দেশ
গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও এই বিমানে ছিলেন বলে সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গেছে, যা এই দুর্ঘটনার গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।দুপুর ১টা ১৭ মিনিট নাগাদ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার ১৯ মিনিটের মধ্যেই, আনুমানিক সাত কিলোমিটার দূরত্বে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায় এবং বিমানটির ধ্বংসাবশেষ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও প্রাথমিকভাবে বহুতলে আঘাত লাগার সম্ভাবনার কথা বলা হলেও, এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনার সঠিক কারণ স্পষ্ট নয়। তবে বিমানটি টেক-অফের পর হঠাৎ উচ্চতা হারাতে শুরু করে এবং একটি বহুতলের সাথে ধাক্কা লেগে ভেঙে পড়ে বলে সূত্রে জানা গেছে।
প্রকাশ্যে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে বিধবাকে মারধর ভয়ঙ্কর পরিণতি ঘাটালে
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দমকল বাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। তবে আগুনের তীব্রতা এবং ধ্বংসাবশেষের ব্যাপকতার কারণে উদ্ধারকাজে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এই দুর্ঘটনার জেরে এয়ার ইন্ডিয়ার শেয়ারের দরে ৪ শতাংশ পর্যন্ত পতন হয়েছে, যা বিমান সংস্থাটির উপর বড় প্রভাব ফেলেছে। সরকার ও বিমান সংস্থা উভয়ই এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে।
তৃণমূলের নয়া নেতা, পুরনো আক্রমণের স্মৃতি টাটকা
কেন্দ্রীয় নাগরিক বিমান মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু কিনজারাপু গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, “দিল্লি থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে। উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম তৎপর।” আর স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস অঞ্চলে ছয়টি ফায়ার টেন্ডার ও ত্রাণ দল মোতায়েন করে তীব্র আগুন নেভানোয় নামছে ।