pm modi kishan schemes

ব্যুরো নিউজ ১৪ অক্টোবর ২০২৫ : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার (১২ অক্টোবর) জাতীয় রাজধানীর পুসা ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কৃষকদের জন্য সম্মিলিতভাবে ৩৫,৪৪০ কোটি টাকার দুটি বড় কৃষি প্রকল্পের সূচনা করেছেন। এই প্রকল্প দুটি হলো – ‘প্রধানমন্ত্রী ধন ধান্ন কৃষি যোজনা (PM-DDKY)’ এবং ‘ডাল উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার জন্য মিশন (Mission for Aatmanirbharta in Pulses)’

অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের দেশীয় ও বৈশ্বিক চাহিদা মেটাতে উৎপাদন বৃদ্ধির আহ্বান জানান এবং বলেন যে ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’ (Viksit Bharat) গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কৃষকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, এই দুটি বড় প্রকল্প “লক্ষ লক্ষ কৃষকের ভাগ্য বদলে দেবে।”

  • প্রধানমন্ত্রী ধন ধান্ন কৃষি যোজনা (PM-DDKY): ২৪,০০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো আকাঙ্ক্ষাপূর্ণ জেলা কর্মসূচির (ADP) মডেলের ভিত্তিতে কৃষি ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া ১০০টি জেলার রূপান্তর ঘটানো। এই প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত জেলাগুলিতে ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, শস্যের বৈচিত্র্য আনা, সেচ ও গুদামজাতকরণের সুবিধা উন্নত করা এবং ঋণের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হবে।
  • ডাল উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার জন্য মিশন: ১১,৪৪০ কোটি টাকার এই মিশনে প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের ২০৩০ সালের মধ্যে ডালের উৎপাদন বাড়িয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য অতিরিক্ত ৩৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে ডাল চাষের আহ্বান জানান। এই মিশনের লক্ষ্য হলো ৩০৩০-৩১ সালের মধ্যে ডাল উৎপাদন বর্তমানের ২৫২.৩৮ লক্ষ টন থেকে বাড়িয়ে ৩৫০ লক্ষ টন করা এবং আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানো।

এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী কৃষি, পশুপালন, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে ৫,৪৫০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং অতিরিক্ত প্রায় ৮১৫ কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, মৎস্য, পশুপালন ও দুগ্ধ উন্নয়ন মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিং এবং কৃষি প্রতিমন্ত্রী ভগীরথ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

Panchayat : গ্রামীণ উন্নয়নে অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে শুরু হচ্ছে পঞ্চায়েত স্তরে পিপলস প্ল্যান ক্যাম্পেইন

কংগ্রেসকে নিশানা ও বিগত বছরগুলোর অর্জন

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে পূর্ববর্তী কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের (২০০৪-২০১৪) কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, তারা কৃষি ক্ষেত্রকে “উপেক্ষা” করেছে এবং এই গুরুত্বপূর্ণ খাতের বৃদ্ধির জন্য তাদের কোনো “দৃষ্টিভঙ্গি” ছিল না। তিনি বলেন, “সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে কৃষিকে সরকারি সহায়তা প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুর্ভাগ্যবশত, পূর্ববর্তী সরকারগুলি কৃষি পরিত্যাগ করেছিল।”

বিগত ১১ বছরে তাঁর সরকার কৃষি ও সহযোগী ক্ষেত্রগুলির সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “কৃষকদের স্বার্থে আমরা বীজ থেকে বাজার পর্যন্ত (Beej se Bazaar tak) একাধিক সংস্কার করেছি।” তাঁর মেয়াদে এই খাতের অর্জনগুলি তুলে ধরে মোদী বলেন:

  • কৃষি রপ্তানি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
  • খাদ্যশস্য উৎপাদন ৯০০ লক্ষ টন বেড়েছে।
  • ফল ও সবজি উৎপাদন ৬৪০ লক্ষ টন বেড়েছে।
  • মধু উৎপাদনও ২০১৪ সাল থেকে দ্বিগুণ হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তাঁর সরকার ইউপিএ-র ১০ বছরে দেওয়া ৫ লক্ষ কোটি টাকার সারের ভর্তুকির তুলনায় গত ১০ বছরে ১৩ লক্ষ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। সম্প্রতি জিএসটি (GST) হার হ্রাসের ফলে গ্রামীণ ভারত এবং কৃষকরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন, কারণ এর ফলে ট্র্যাক্টরের মতো কৃষি যন্ত্রপাতির দাম কমেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর