ট্রাম্পের দাবি, নয়াদিল্লির কৌশলগত নীরবতা

ব্যুরো নিউজ : রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধে ভারত সম্মত হয়েছে—এই দাবি করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে ভারত আর মস্কো থেকে তেল কিনবে না। কিন্তু নয়াদিল্লির প্রতিক্রিয়া? সরাসরি কোনও মন্তব্য নয়, বরং কূটনৈতিকভাবে ভারসাম্যপূর্ণ একটি বিবৃতি। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানালেন, “ভারতীয় ক্রেতাদের স্বার্থ সুরক্ষাই আমাদের অগ্রাধিকার। আমদানি নীতি সেই লক্ষ্যেই পরিচালিত হয়।”

অতিরিক্ত শুনানি নয় SSC নিয়োগে_স্পষ্ট বার্তা সুপ্রিম কোর্টের

বিশ্লেষকদের মতে, এই বিবৃতি থেকেই স্পষ্ট—ভারত তেল কেনার ক্ষেত্রে স্বাধীন অবস্থান বজায় রাখবে। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল আমদানি ক্রমে বেড়েছে—যেখানে ০.২ শতাংশ থেকে এখন তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশে। সস্তা দরে তেল কেনার মাধ্যমে ভারত ঘরোয়া বাজারে জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে। তাই মার্কিন চাপের মুখেও নয়াদিল্লি জাতীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দিচ্ছে।

বড় প্রশ্নের মুখে বর্ধমান স্টেশন

এদিকে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পদক্ষেপে পরিস্থিতি আরও জটিল। রুশ তেল আমদানির জেরে ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা, তবুও নয়াদিল্লি অবস্থান থেকে সরেনি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ট্রাম্পের মন্তব্য মূলত আমেরিকার নির্বাচনী রাজনীতির প্রেক্ষাপটেই বেশি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। তবে ভারতের নীতি স্পষ্ট—কোন দেশ থেকে তেল কেনা হবে, তা নির্ধারণ করবে ভারতই, অন্য কেউ নয়।
এই অবস্থায় প্রশ্ন একটাই—অর্থনীতি না কূটনীতি, কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে নয়াদিল্লির কাছে? আপাতত তার উত্তর সময়ই দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর