abhijir-gongopadhyay hospitalised

ব্যুরো নিউজ ১৬ জুন : কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এবং বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুরের তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পেটে ব্যথা নিয়ে শনিবার রাতে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (ICU/CCU) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা মূল্যায়নের জন্য সাত সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।


হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক অবস্থা
 শনিবার রাতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তলপেটে তীব্র ব্যথা এবং বমি অনুভব করায় দ্রুত তাঁকে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, সাংসদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও ,  তিনি গুরুতর অসুস্থ এবং নিরবচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

মোদী, শুভেন্দু এবং মমতার তরজা : ‘নির্মম সরকার’ এবং ‘সিঁদুর’ রাজনীতিতে উত্তাল বাংলা

মেডিক্যাল বোর্ড ও রোগ নির্ণয়
 হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক তদন্তে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সেপসিস সহ অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস ধরা পড়েছে। তার অবস্থার সমন্বিত এবং ব্যাপক ব্যবস্থাপনার জন্য একটি বহু-বিভাগীয় সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এই বোর্ডে ইন্টারনাল মেডিসিন, ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ, কার্ডিওলজিস্ট (হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ), পালমোনোলজিস্ট (ফুসফুস ও শ্বাসযন্ত্র রোগের বিশেষজ্ঞ), এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট এবং জিআই সার্জন-এর মতো বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গঙ্গোপাধ্যায়ের একাধিক মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে এবং এই রিপোর্টগুলির উপর ভিত্তি করে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা পরবর্তী চিকিৎসার পরিকল্পনা করবেন।

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক পরিচিতি
 অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গত দুই বছর ধরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে বিদ্যালয় নিয়োগে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি মামলার রায়গুলির কারণে জাতীয় শিরোনামে এসেছিলেন। তার পর্যবেক্ষণে দুর্নীতির প্রকৃতি নিয়ে করা মন্তব্যগুলোও জাতীয় মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপি তাঁকে তমলুক লোকসভা আসন থেকে প্রার্থী করে, যা ঐতিহ্যগতভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ছিল। তবে, গঙ্গোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের দেবাংশু ভট্টাচার্যকে ৭৭,৭৭৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে জয়ী হন।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর