jhargram-maoist-alert

ব্যুরো নিউজ ১২ জুন: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শালবন সারান্ডা জঙ্গল আবারও পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঝাড়খণ্ডের পূর্ব ও পশ্চিম সিংভূম ও সরাইকেলা জেলা জুড়ে বিস্তৃত এই জঙ্গল দীর্ঘদিন ধরেই মাওবাদীদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সময়ের ছত্তিশগড়ে যৌথবাহিনীর অভিযানে শীর্ষ মাও নেতাদের মৃত্যুর পর, নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মাওবাদীরা ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে প্রবেশ করতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকেই চরম সতর্কতা জারি করেছে জেলা পুলিশ।

পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা জানান

গত সপ্তাহে ঝাড়খণ্ডের কমলাপুর থানার পুলিশ পশ্চিমবঙ্গের ডোমেইনভুক্ত কয়েকজন ফেরার মাওবাদীর বাড়িতে আদালতের নোটিস টাঙিয়ে গেছে। এই ঘটনা রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের পাশাপাশি প্রশাসনিক স্তরেও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। যদিও ঝাড়গ্রাম জেলা বর্তমানে মাওবাদী মুক্ত বলে সরকারি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, তবুও সীমান্তঘেঁষা এলাকা ও জঙ্গল ঘেরা ভৌগোলিক অবস্থান এই জেলাকে আবারও মাওবাদীদের আশ্রয়স্থল করে তুলতে পারে, এমন আশঙ্কা অমূলক নয়।

“শিশু বড় হচ্ছে? প্রথমে ভাবুন প্রোটিন কীভাবে আসবে পাতে

ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা স্পষ্ট করে জানান, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী ঝাড়গ্রামে এখনো পর্যন্ত কোনও মাওবাদী গতিবিধি ধরা পড়েনি। তবে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নজরদারি ও টহলদারি জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে জেলায় ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

অতীতের ভয়াবহ ঘটনা

যেমন ২০১০ সালের জ্ঞানেশ্বরী ট্রেন দুর্ঘটনা, ২০০৮ সালের শালবনীর ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণ, কিংবা মাও সন্ত্রাসে শতাধিক নিরীহ নাগরিকের মৃত্যুর স্মৃতি এখনো টাটকা। এক সময়ের মুক্তাঞ্চল ঝাড়গ্রাম, যেখানে পিপলস ওয়ার গ্রুপ (PWG)মাওবাদী কমিউনিস্ট সেন্টার (MCC) একত্র হয়ে গঠন করেছিল সিপিআই (মাওবাদী), সেখানে আজও আতঙ্কের ছায়া ঘনাচ্ছে।

বনগাঁ কলেজে বাংলাদেশি সভাপতি? নাগরিকত্ব বিতর্কে তুঙ্গে আলোড়ন!

তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা সহ-সভাপতি প্রসূণ ষড়ঙ্গি দাবি করেন, উন্নয়নই শান্তি ফিরিয়েছে জেলায়। মাওবাদীদের মত সন্ত্রাসের রাজনীতির কোনও স্থান এখানে নেই। অপরদিকে CPM জেলা সম্পাদক প্রদীপ সরকার মাওবাদীদের হাতে বহু বাম নেতা-কর্মীর মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে বলেন, এই সন্ত্রাস আবার ফিরে আসুক কেউই তা চায় না।

এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সারান্ডা থেকে ঝাড়গ্রামে অনুপ্রবেশের রুটগুলো নিরাপত্তার জন্য চিহ্নিত করা হচ্ছে। গোয়েন্দা বিভাগ, সশস্ত্র বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন যৌথভাবে নজরদারিতে রয়েছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর