ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১৩ ফ্রেব্রুয়ারিঃ বেজে উঠল শাঁখ, উলুধ্বনি, সানাইয়ের সুর। আলোয় ঝলমলে সুসজ্জিত মণ্ডপ।লাজে রাঙা নববধূর মুখ। আর পাঁচটা বিয়ের মতো রীতি ও প্রথা মেনে বিয়ে হলেও, এই বিয়ে যথেষ্টই আলাদা। ভালবাসার সপ্তাহে চার হাত এক হল সোনারপুরের এক এইচআইভি পজিটিভ যুগলের। জীবনযুদ্ধে একে অপরকে বেছে নিয়েছে এই যুগল। পাত্রী দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের সুনীতা যাদব আর পাত্র উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির সৈমিত্র গায়েন।
ছোটবেলাতেই এই হোমে ঠাঁই হয়েছিল সুনীতা যাদবের। ছোটবেলাতেই বাবা-মাকে হারিয়ে এই হোমেই পড়াশোনা করেন সুনীতা। বাবা-মা দুজনেই ছিলেন এইচআইভি পজ়িটিভ। তাঁদের মৃত্যুর পর এই হোমে নিয়ে আসা হয় সুনীতাকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বর্তমানে ‘কফি পজিটিভ’ নামে একটি কফি শপে কাজ করতেন । কাজের পাশাপাশি প্রতিমাসেই মেডিক্যাল কলেজে যেতে হত অ্যান্টি রেট্রোভাইরাল থেরাপি নিতে। ওই সুত্রেই হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে আলাপ সন্দেশখালির বাসিন্দা সৈমিত্র গায়েনের । ধীরে ধীরে সম্পর্কটি গড়ায় প্রেমে। আর সেই সম্পর্ক পূর্ণতা পেল এই রবিবার। অর্থাৎ চার হাত এক হল ওই যুগলের।
বিয়ের কার্ড ছাপানো থেকে শুরু করে বিয়ের সমস্থ দায়িত্বে ছিলেন হোমের কর্তারা। জানা যায়, বিয়ের মূল উদ্যোগ নিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সমাজের এখনও অনেকেই এইচআইভি পজিটিভদের খারাপ নজরে দেখেন। আমরা সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে নতুন কিছু করতে চাই।